সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা, কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) : পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে রবিকুল ইসলাম নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে নিরীহ মানুষকে হয়রানির অভিযোগ ওঠেছে। রবিকুল ইসলামের বাড়ি কেন্দুয়া উপজেলার সান্দিকোনা ইউনিয়নের দুরচাপুর গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের একলাছ মিয়ার ছেলে। এলাকাবাসীর পক্ষে ওই গ্রামের মনফর মুন্সির ছেলে মুসলেম উদ্দিন সহ দুরচাপুর, বেলাটি, চাট্রা গ্রামের শতাধিক ব্যক্তি স্বাক্ষরিত তার বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ মঙ্গলবার (২৩ জুন) কেন্দুয়া থানায় অফিসার ইনচার্জ বরাবর দাখিল করেছেন। 

এলাকাবাসী তাদের লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, নেত্রকোনা পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সার্কেল ও ডিবি পুলিশের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে সাধারন মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা দাবী করত রবিকুল। অতিষ্ঠ হয়ে এলাকাবাসী তার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত যুবক রবিকুলের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এর সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এলাকার মমতাজ মেম্বার নামের এক ব্যক্তি কয়েকদিন আগে জুয়া খেলার জন্য আমার কাছে ৫০ হাজার টাকা ধার চেয়েছিলেন। ওই টাকা না দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি আমার বিরুদ্ধে এক হাতে অনেকের স্বাক্ষর জাল করে আমাকে হয়রানির জন্য থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। আমি এসবের সুষ্ঠু তদন্ত দাবী করছি।

কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান বলেন, এলাকাবাসীর লিখিত অভিযোগটি পেয়ে তদন্ত দেয়া হয়েছে।

অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের এস.আই লিটন ঘোষ বলেন, অভিযোগটি নিয়ে এলাকায় তদন্ত শুরু করেছি। তদন্ত শেষ না হলে এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে পারছিনা।

কেন্দুয়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (বর্তমানে পদোন্নতি প্রাপ্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার) মাহমুদুল হাসান বলেন, এরকম কোন লিখিত অভিযোগ আমার নিকট এখনও আসেনি। অভিযোগ আসলে তদন্ত করে সত্য মিথ্যা যাচাই করা হবে।

এদিকে সান্দিকোনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল ইসলাম অভিযোগটির সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচার দাবী করেছেন।

(এসবি/এসপি/জুন ২৩, ২০২০)