শরীয়তপুর প্রতিনিধি : দলীয় গঠনতন্ত্র পরিপন্থি, দলীয় শৃংখলা ভঙ্গ ও দলীয় নেতা-কর্মীদের হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে শরীয়তপুর সদর উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়ন  শাখা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক, চন্দ্রপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম মোল্যাকে বহিস্কার করেছে শরীয়তপুর সদর উপজেলা আওয়ামীলীগ।

জানা গেছে, ১২ আগস্ট বিকেলে শরীয়তপুর সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুস সালাম হাওলাদার এর সভাপতিত্বে কার্যনির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সভায় শরীয়তপুর সদর উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুল হালিম মোল্যাকে দলীয় গঠনতন্ত্র পরিপন্থি ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে সর্বসম্মতিক্রমে সংগঠনের সকল সদস্য পদ থেকে বহিস্কারের সুপারিশ শরীয়তপুর জেলা আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বরাবরে পাঠানো হয়েছে।
শরীয়তপুর সদর উপজেলা আওয়ামীলীগ সূত্রে জানা গেছে, ২০০৪ সালের ১৬ এপ্রিল চন্দ্রপর ইউপির সাবেক মেম্বার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আওয়ামীলীগ নেতা ইউসুফ আলী হাওলাদারকে হত্যা, ২০১০ সালের ১৫ জানুয়ারী স্থানীয় আওয়ামীলীগে নেতা ও চিকন্দী শরফ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সামাদ আজাদকে হত্যা ও সর্বশেষ গত ২৪ জুলাই শরীয়তপুর সদর উপজেলা স্বেচ্ছা সেবকলীগের সিনিয়রসহ সভাপতি লোকমান হোসেন মাদবরের হত্যার সাথে হালিম মোল্যার জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনটি হত্যা মামলায়ই হালিম মোল্যা প্রধান ষড়যন্ত্রকারী ও এজাহারভুক্ত আসামী।
শরীয়তপুর সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুস সালাম হাওলাদার বলেন, হালিম মোল্যাকে দলীয় শৃংখলা ভঙ্গ করে দলের ত্যাগী নেতা-কর্মীদের হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে সংগঠনের সকল পদ থেকে বহিস্কারের সুপারিশ করে জেলা আওয়ামীলীগের কাছে পাঠানো হয়েছে। ১২ আগষ্ট থেকে হালিম মোল্যার বহিস্কারাদেশ কার্যকর বলে গন্য হবে।
আব্দুল হালিম মোল্যার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হচ্ছে। আমি কোন হত্যার রাজণীতির সাথে সম্প্রক্ত নই। আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য একটি মহল আমার বিরোধিতা করছে।
(কেএনআই/এএস/আগস্ট ১৩, ২০১৪)