নেত্রকোনা প্রতিনিধি : নেত্রকোনায় স্কুলছাত্র শফিকুল ইসলাম খান হত্যার দায়ে তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।

বুধবার দুপুরে নেত্রকোনার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আব্দুল হামিদ এ রায় প্রদান করেন।রায়ে দুইজনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়।


দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- নেত্রকোনা সদর উপজেলার রৌহা ইউনিয়নের কুমড়ী গ্রামের বীরেন্দ্র সরকারের ছেলে মনোরঞ্জন সরকার মনু, পূর্বধলা উপজেলার খলিশাউর গ্রামের কুনীল সরকারের ছেলে সজিত সরকার ও ময়মনসিংহ জেলার গৌরিপুর উপজেলার হরুদা গ্রামের উপেন্দ্র সরকারের ছেলে দীপেন্দ্র সরকার। তিনজনই পলাতক রয়েছেন।


খালাস পাওয়া দুইজন হলেন-আশু সরকারের মেয়ে চম্পা রানী সরকার ও মনোরঞ্জনের স্ত্রী মিনতী সরকার।


আদালত সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার রৌহা ইউনিয়নের কুমড়ী গ্রামের আশু চন্দ্র সরকারের মেয়ে চম্পা রানী সরকারের সঙ্গে পাশের আমলী কেশবপুর গ্রামের শাহাব উদ্দিন খানের ছেলে শফিকুল ইসলাম খানের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। তারা নেত্রকোনা উচ্চ বিদ্যালয়ে একই সঙ্গে পড়াশুনা করত। ২০০৪ সালের ২০ নভেম্বর রাত ৮টার দিকে সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা শফিকুলকে ডেকে নিয়ে হত্যা করে লাশ মনোরঞ্জনের পুকুরে ফেলে রাখে। শফিকুলের পরিবার বিষয়টি জানতে পেরে নেত্রকোনা মডেল থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই জহিরুল ইসলাম খান বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামি করে ২১ নভেম্বর নেত্রকোনা মডেল থানায় একটি মামলা করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে ২০০৫ সালের ১১ সেপ্টেম্বর সকল আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে।


বিচারক ১০ জন সাক্ষির সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এই রায় প্রদান করেন।


রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পিপি মোহাম্মদ সাইফুল আলম প্রদীপ।


আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খান জুয়েল।

(ওএস/এটিআর/আগস্ট ১৩, ২০১৪)