জামালপুর প্রতিনিধি : উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা বর্ষণে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনা-ব্রহ্মপুত্রসহ অন্যান্য নদনদীর পানি। ইতোমধ্যেই নদীপারের নিন্মাঞ্চলের ফসলি ক্ষেত, বাড়িঘর, রাস্তাঘাট ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি প্রবেশ করেছে। বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে জামালপুরের মেলান্দহের মাহমুদপুর টু ইসলামপুরের উলিয়া সড়ক যোগাযোগ।

পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবু সাঈদ জানান, শনিবার বিকেল ৬টায় যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ৩০ সেন্টিমিটার (১৯.৮০) ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অর্থাৎ পানি দ্রুতগতিতে বাড়ছে এবং ব্রহ্মপুত্রের পানি ফেরিঘাট পয়েন্টে ১৪.৪৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

দ্রুত গতিতে পানি বাড়ায় নদীপারের নিন্মাঞ্চলের ফসলি ক্ষেত, বাড়িঘর, রাস্তাঘাট ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। এদিকে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা সদরের কিছু এলাকায় পানি ঢুকে পড়েছে। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে মেলান্দহের মাহমুদপুর টু ইসলামপুরের উলিয়া সড়ক যোগাযোগ। পানির তীব্র স্রোতে দেওয়ানগঞ্জের মন্ডল বাজার এলাকায় ২০ মিটারহাজার সড়ক ভেঙ্গে পড়ায় দেওয়ানগঞ্জ- খোলাবাড়ি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৫ মানুষ। পানিবন্দি মানুষজন নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে দ্বিগবিদিক ছুটাছুটি করছে।

বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে ইসলামপুর উপজেলার চিনাডুলি ইউনিয়নের দক্ষিণ চিনাডুলি, দেওয়ানপাড়া, ডেবরাইপ্যাচ, বলিয়াদহ, পশ্চিম বামনা, বেলগাছা ইউনিয়নের কছিমার চর, দেলীপাড়, গুঠাইল, সাপধরী ইউনিয়নের আকন্দপাড়া, পূর্ব চেঙ্গানিয়ারসহ নদীপারের আরও বেশকটি গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকায় পানি প্রবেশ করেছে। পার্থশী, নোয়ারপাড়া ও পলবান্দা ইউনিয়নের লোকালয়ে হু হু করে বন্যার পানি প্রবেশ করছে।

পানি বাড়ার সাথে সাথে যমুনাপাড়ের বেশকটি এলাকায় দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন। দেওয়ানগঞ্জের চিকাজানী ইউনিয়নের খোলাবাড়ি, বরখাল ও মাদারগঞ্জের জমথলে যমুনা ভাঙছে বাড়িঘর, গাছপালা ফসলি জমি।

(আরআর/এসপি/জুন ২৭, ২০২০)