গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি : উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল ও গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে  গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত করতোয়া নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দেখা দিয়েছে তীব্র নদী ভাঙ্গন। গত ৩ দিনে ১৫টি পরিবারের বসতভিটা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

জানা গেছে, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার হরিরামপুর ইউনিয়নের পারধুন্দিয়া গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া করতোয়া নদীর ভাঙ্গনে গত ৩ দিনে পার ধুন্দিয়া গ্রামের ১৫ টি পরিবারের বসতভিটা নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। ওই গ্রামের ফুল মিয়া, লাল মিয়া, শাহারুল ইসলাম, সাহেব মিয়া, ওমর আলী, মনজু মিয়া, চান মিয়া, মশিউর রহমান, মোস্তাফিজুর রহমান, রফিকুল ইসলাম ও আব্দুল কাদেরসহ ১৫টি পরিবারের বসতভিটা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের লোকজন কেউ বাঁধে, কেউ বা আবার অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে।

ওই এলাকার ক্ষতিস্থ বাসিন্দা মিজানুর রহমান জানান, করোনা মাহামারীর কারণে বিগত দিনের লক ডাউনে এলাকায় কাজ কর্ম না থাকায় গত ৩ মাস ধরে অতি কষ্টে আমরা দিন-যাপন করছিলাম। তার উপর আবার নদী ভাঙ্গনে আমাদের শেষ সম্বল বসতভিটাও নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেল।

এ ব্যাপরে হরিরামপুর ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান আলী সাজুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের তালিকা করে উপজেলা নির্বাহী অফিসে দাখিল করা হয়েছে- তবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে ওই গ্রামটি সম্পূর্ন নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।

এ বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রামকৃষ্ণ বর্মন জানান, নদীগর্ভে হরিরামপুর ইউনিয়নের পার ধুন্দিয়া গ্রামে নদী ভাঙ্গনে ১২/১৪টি পরিবারের ঘর-বাড়ী নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্থ ওই পরিবার গুলোকে স্থানীয় গুচ্ছগ্রামে থাকার ব্যবস্থা করে দেয়া হয়েছে এবং পরবর্তীতে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের তালিকা চুড়ান্ত করে সরকারী ভাবে সাহায্য সহযোগিতার ব্যবস্থা করা হবে।

(এস/এসপি/জুন ২৯, ২০২০)