স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেছেন, আমরা হন্যে হয়ে খুঁজি কোথায় ভেজাল মুক্ত খাবার পাব।

শনিবার সকালে রাজধানীর বিয়াম অডিটরিয়ামে ‘ভেজাল প্রতিরোধে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের করণীয়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি একথা জানান। আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয় নকল ও ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডেশন।

কামরুল ইসলাম বলেন, আমরা নতুন প্রজন্মকে ভেজাল মুক্ত কিছুই খাওয়াতে পারছি না। আমার সন্তানদের আঙ্গুর, আপেল, খাওয়াতে পারি না। সব সময় ভয়ে থাকি।

তিনি জানান, আমার ছোট নাতিটা একটা লিচু খেয়ে তিন দিন হাসপাতালে ছিল। কারণ সব কিছুতে ভেজাল। আমরা হন্যে হয়ে খুঁজি কোথায় ভেজাল মুক্ত খাবার পাব।

আইন করে ভেজাল মুক্ত করা যাবে না। ভেজাল মুক্ত করতে হলে সবাইকে সচেতন হতে হবে বলে মন্তব্য করেন খাদ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, যে লোকটি খাবারে ভেজাল মেশাচ্ছে, তার কিন্তু ছেলে মেয়ে আছে। তারাও কিন্তু এর বাইরে না।

‘ভেজালের বিরুদ্ধে মিডিয়ার ভূমিকা অন্যতম’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, শুধু খাদ্য ভেজালে নয়, সবকিছুতে মিডিয়ার ভুমিকা উল্লেখযোগ্য। হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে তিন হাজার লোক মারা গেছে বলে একটি মিথ্যচার প্রচার হয়েছিল, এ মিথ্যাচারের সঙ্গে একটি এনজিও জড়িত ছিল। কিন্তু আমরা মিডিয়ার কল্যাণে সবকিছু জানতে পেরেছি।

‘সবার জন্য নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ খুব শিগগিরই প্রয়োগে যাবে’ আশা প্রকাশ করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, এটা প্রয়োগ হলে সবার জন্য নিরাপদ খাদ্য অধিকার বাস্তবায়ন সম্ভব হবে। তবে এটা একটা বিরাট ব্যাপার, তাই প্রয়োগে একটু সময় লাগবে।

খাদ্যের মতো আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে ভেজাল সৃষ্টি করা হচ্ছে’ মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, ‘খাদ্যে যেমন ভেজাল সৃষ্টি করা হচ্ছে, তেমনি আজকে অনেকে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে মিথ্যাচার করে ভেজাল সৃষ্টি করা হচ্ছে। আমি আশাকরি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও রাজনীতি ভেজাল মুক্ত রাখবেন সবাই।

এ. কে এম. খোরশেদ আলম খানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন- মো. রোকন উদ দোলা, শরীফ মো. ফরহাদ, মো. হেলাল উদ্দিন আহমেদ, মো. শামীম খান প্রমুখ।

(ওএস/এটি/এপ্রিল ১৯, ২০১৪)