স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, আমরা ঢাকাবাসীকে ডেঙ্গুর প্রকোপ থেকে মুক্তি দেব। আশা করছি ঢাকাবাসীকে ডেঙ্গুর প্রকোপ থেকে মুক্তি দিতে পারবো।

বুধবার (১ জুলাই) বিকেলে নগর ভবনে অনলাইনের মাধ্যমে মশার প্রজননস্থলে কীটনাশক ছিটানো সেবা প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

তাপস বলেন, কারও বাসাবাড়ি বা বেজমেন্টে বা কারও নির্মাণাধীন বাসাবাড়িতে মশার লার্ভা বা লার্ভার বিস্তার ক্ষেত্র রয়েছে কিনা সেটা আমাদের পক্ষে জানা সম্ভব নয়। কিন্তু মানুষের বাসাবাড়িতে বা নির্মাণাধীন বাড়িতে বা মানুষের বাসার ফুলদানি-টব-টায়ারে মশার বিস্তার হয় সেটা আমরা জানি। এ ধরনের সমস্যা সমাধানের জন্যই বছরব্যাপী মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এখন থেকে ঢাকাবাসীর জন্য অনলাইনে আবেদনের ভিত্তিতে মশার প্রজননস্থলে কীটনাশক ছিটানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আশা করি এর মাধ্যমে ঢাকাবাসীকে ডেঙ্গুর প্রকোপ থেকে মুক্তি দিতে পারবো।

তাপস আরও বলেন, এ সেবা পেতে মানুষের বাসাবাড়িতে মশার লার্ভা কিংবা বিস্তারক্ষেত্র থাকলে সেজন্য আমাদের মোবাইল কোর্ট যে জরিমানা করে, তার চাইতেও অনেক কম মূল্যে বলা যায় নামমাত্র মূল্যে আমরা ঢাকাবাসীকে এ সেবা দেব।

বছরব্যাপী সমন্বিত মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের আওতায় এখন থেকে একজন সেবাগ্রহীতা ডিএসসিসির আওতাধীন এলাকার নিজ বাসা-ভাড়া বাসা-বাণিজ্যিক ভবন বা অন্যান্য স্থাপনায় জমে থাকা মশার লার্ভা বিনষ্ট করতে মশার প্রজননস্থলে কীটনাশক ছিটানো সেবা নিতে পারবেন। সেবা পেতে সেবাগ্রহীতাকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ওয়েব পোর্টালের নির্দিষ্ট লিংকের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। পাঁচ ক্যাটাগরিতে সেবা গ্রহণ করা যাবে এবং সেবা গ্রহীতাকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ সেবা মূল্য হিসেবে দিতে হবে। আবেদনের পর তিন কার্যদিবসের মধ্যে এই সেবা প্রদান কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে।

স্থাপনার ক্যাটাগরি ও সেবার হার বিষয়ে জানা গেছে, তিন কাঠা পর্যন্ত এক ইউনিট বাড়ি (পাঁচ তলা পর্যন্ত) ২ হাজার টাকা; ৩-৫ কাঠা পর্যন্ত ফ্ল্যাট বাড়ি (প্রতি ফ্লোর) ২ হাজার ৫০০; ৫-১০ কাঠা পর্যন্ত অ্যাপার্টমেন্ট ১০ তলা পর্যন্ত (প্রতি ফ্লোর) ৩ হাজার ৫০০ টাকা; অ্যাপার্টমেন্ট ১০ তলার উপরে বেজমেন্টসহ ৫ হাজার টাকা। বাণিজ্যিক ভবন ৮ হাজার টাকা।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মো. ইমদাদুল হক, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রি. জে. (ডা.) শরীফ আহমেদ, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমোডর মো. বদরুল আমিন, সচিব আকরামুজ্জামানসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

(ওএস/এসপি/জুলাই ০১, ২০২০)