নিউজ ডেস্ক : বিশিষ্ট শিল্পপতি ও ট্রান্সকম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. লতিফুর রহমানের মরদেহ কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে ঢাকায় আনা হচ্ছে। বুধবার (১ জুলাই) বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার চিওড়া গ্রামের ফারাজ মঞ্জিল থেকে তার মরদেহ নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে পরিবার। পারিবারিক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নিজ বাসভবন ফারাজ মঞ্জিলে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন লতিফুর রহমান। তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। দুই বছর ধরে তিনি অসুস্থ ছিলেন। বেশির ভাগ সময় তিনি গ্রামের বাড়িতেই থাকতেন। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও দুই মেয়ে রেখে গেছেন। তিনি চিওড়া গ্রামের প্রয়াত খান বাহাদুর মজিবুর রহমানের ছেলে।

লতিফুর রহমানের ভাতিজা শাহিদুর রহমান জানান, গত ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে অসুস্থ হয়ে লতিফুর রহমান গ্রামের বাড়ি ফারাজ মঞ্জিলে অবস্থান করছিলেন। মাঝে মধ্যে ঢাকা থেকে চিকিৎসক এসে তাকে দেখে যেতেন। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিনি বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যান। মৃত্যুর সময় তার স্ত্রী শাহনাজ রহমান, ছেলে আসাদ অলিউর রহমানসহ পরিবারের সদস্যরা তার পাশে উপস্থিত ছিলেন।

তিনি আরও জানান, এখানে জানাজা হয়নি। মরহুমের মরদেহ ঢাকায় নেয়ার পর গুলশান আজাদ মসজিদে বাদ এশা জানাজা শেষে রাতেই বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে।

চিওড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একরামুল হক জানান, উঁচু প্রাচীর ঘেরা ফারাজ মঞ্জিল বাড়িটি ছিল বেশ সুরক্ষিত। সেখানে বাইরের লোকজনের প্রবেশ ছিল অনেকটা নিষিদ্ধ। তাই মৃত্যুর খবর পেয়ে চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশ, প্রশাসনের কর্মকর্তা, স্থানীয় লোকজন ও সাংবাদিকরা অনেক চেষ্টা করেও বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত বাড়িতে প্রবেশ করার অনুমতি পাননি।

লতিফুর রহমান জাতীয় দৈনিক প্রথম আলো পরিচালনাকারী মিডিয়া স্টার এবং ডেইলি স্টার পরিচালনাকারী মিডিয়াওয়ার্ল্ড লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক। বাংলাদেশের বাজারে আন্তর্জাতিক ফাস্টফুড চেইন পিৎজা হাট ও কেন্টাকি ফ্রায়েড চিকেন (কেএফসি) প্রচলনের জন্য সমাধিক পরিচিত বিশিষ্ট এই ব্যবসায়ী।

(ওএস/এসপি/জুলাই ০১, ২০২০)