নীলকন্ঠ আইচ মজুমদার, ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) : ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে ড্রাগন চাষে স্বপ্ন দেখছেন কৃষক জিয়াউর রহমান। উপজেলার মাইজবাগ ইউনিয়নের দত্তগ্রামের কৃষক জিয়া ফল বিক্রি করে হচ্ছেন আর্থিভাবে লাভবান ।

সরেজমিন দত্তগ্রামে গিয়ে দেখা যায় কৃষক জিয়া ২৮শতক জমিতে ড্রাগন ফলের চাষ করেছেন। উপজেলায় একমাত্র ড্রাগন বাগান হওয়ায় বিভিন্ন এলাকার মানুষ ড্রাগন গাছ ও ফল দেখার জন্য বাগানে ভীড় করছেন। এই বাগান দেখে এলাকার অনেক শিক্ষিত বেকার যুবক ড্রাগন চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে।

ড্রাগন চাষের ব্যাপারে কৃষক জিয়া বলেন, বিটিভিতে মাটি ও মানুষের অনুষ্ঠানে ড্রাগন চাষের প্রতিবেদন দেখে তিনি আগ্রহী হয়ে উঠেন। ২০১৯ সালে কিশোরগঞ্জ ও ময়মনসিংহ জার্ম প্লাজম সেন্টার থেকে চারা সংগ্রহ করে ২৮ শতক জমিতে ১শ ৬০টি মাদায় পিলার স্থাপন করেন। প্রতি পিলারে ৪টি করে ড্রাগন ফলের চারা রোপন করেন। চাষকৃত জায়গায় বাগান করতে খরচ হয়েছে প্রায় ৫লক্ষ টাকা। রোপনের ১ বছর পর গত মে মাস থেকে গাছে ফুল ও ফল ধরতে শুরু করেছে।

তিনি জানান, একটি গাছ থেকে ২৫ থেকে ৩০ কেজি ফল পাওয়া যায়। প্রতি কেজি ফলের মূল্য চারশ টাকা। এই বাজার দর অনুযায়ী ভালো ফলন হলে বাগান থেকে বছরে ১০ লক্ষ টাকার ফল বিক্রি করতে পারবেন। ফল বিক্রির পাশাপাশি বাগানে তিন হাজার চারা উৎপাদন করেছেন তিনি। স্থানীয় বাজারে চারার ব্যাপক চাহিদ রয়েছে। প্রতিটি চারার মূল্য ৩০ টাকা দরে তিনি ৯০ হাজার টাকার চারা বিক্রি করতে পারবেন। লাল ও সাদা দুধরনের ড্রাগন ফল রয়েছে বাগানে।

উক্ত ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সোহেল রানা জানান, ড্রাগন বাগান করা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। একবার বাগান গড়ে তুলতে পারলে ২০ বছর পর্যন্ত একটানা ফলন পাওয়া যায় এবং আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া যায়।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাধন কুমার গুহ মজুমদার বলেন, ড্রাগন ক্যাকটাস প্রজাতির উদ্ভিদ। এর ফল সুমিষ্ট ও পুষ্টিকর যার রয়েছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। এ ফলে রয়েছে ব্যাপক আয়রন ও এন্টিঅক্সিডেন্ট। প্রতিকূল আবহাওয়ায় ড্রাগন টিকে থাকতে পারে। ড্রাগনে রোগ বালাই নেই বললেই চলে। ড্রাগন একটি লাভজন চাষ । এ চাষ করে বেকারত্ব দূর করা সম্ভব।

(এন/এসপি/জুলাই ০৪, ২০২০)