স্টাফ রিপোর্টার : দেশে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ ক্রমেই বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় আরও তিন হাজার ২৮৮ জনের শরীরে শনাক্ত হয়েছে এ ভাইরাস। ফলে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৫৯ হাজার ৬৭৯ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ২৯ জন। এ নিয়ে মারা গেলেন এক হাজার ৯৯৭ জন।

শনিবার (৪ জুলাই) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়। বুলেটিন উপস্থাপন করেন অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

তিনি জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৩ হাজার ৮৭১টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় আগের কিছু মিলিয়ে ১৪ হাজার ৭২৭টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো আট লাখ ৩২ হাজার ৭৪টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও তিন হাজার ২২৮ জনের মধ্যে। ফলে শনাক্ত করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল এক লাখ ৫৯ হাজার ৬৭৯ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ২৯ জন। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে এক হাজার ৯৯৭ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও দুই হাজার ৬৩৭ জন। এতে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৭০ হাজার ৭২১ জনে।

গতকালের পরিস্থিতি

গত শনিবারের (৩ জুলাই) বুলেটিনে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা রোগীদের মধ্যে আরও ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর ১৪ হাজার ৬৫০টি নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও তিন হাজার ১১৪ জনের মধ্যে। সে হিসাবে আগের ২৪ ঘণ্টার তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু কমলেও বেড়েছে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা। দেশে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড আছে ৬৪ জনের। সে তথ্য জানানো হয় ৩০ ‍জুনের বুলেটিনে। আর সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড চার হাজার ১৯ জনের, যা জানানো হয় ২ জুলাইয়ের বুলেটিনে।

বুলেটিনে বরাবরের মতো করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনসহ প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেশবাসীর উদ্দেশে তুলে ধরা হয়। বিশেষত মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে বিভিন্ন করণীয় তুলে ধরেন ডা. নাসিমা।

গত ডিসেম্বরে চীনের উহান শহর থেকে ছড়ানো করোনাভাইরাসের ছোবলে গোটা বিশ্ব এখন মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। বিশ্বজুড়ে এ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা এক কোটি ১২ লাখ প্রায়। মৃতের সংখ্যা পাঁচ লাখ ২৯ হাজারের বেশি। তবে সাড়ে ৬৩ লাখের মতো রোগী ইতোমধ্যে সুস্থ হয়েছেন। বাংলাদেশে করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। প্রথম মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ।

(ওএস/এসপি/জুলাই ০৪, ২০২০)