গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি : গাইবান্ধা গোবিন্দগঞ্জে পানি নিস্কাষনের কালভার্টের মুখ বন্ধ করে সরকারী জায়গায় ঘর- বাড়ী নির্মাণ করার ফলে সাহেবগঞ্জ বাজার থেকে সাহেবগঞ্জ ঘাট পর্যন্ত প্রায় ১ কিলিামিটার পাকা সড়ক চলাচলালের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সামান্য বৃষ্টিতেই সড়কটি হাঁটু পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় পথচারী, স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ীসহ ১০ গ্রামের লোকজন চলাচলে সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে।

গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাপমারা ইউনিয়নের সাহেবগঞ্জ বাজারটিতে প্রতিদিন ছাড়াও সপ্তাহে বুধবার ও রোববার হাট বসে। বাজার সংলগ্ন সাহেবগঞ্জ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সাহেবগঞ্জ বহুমুখি উচ্চ বিদালয়ে আসা যাওয়ার জন্য সাহেবগঞ্জ ঘাটের ওই পাকা রাস্তাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন। বহুদিন আগে থেকে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা সাহেবগঞ্জ ঘাট থেকে কৃষি পণ্যসহ অন্যান্য মালামাল পরিবহনের জন্য সড়কটি ব্যবহার হয়ে আসছে। কিন্তু ওই এলাকার কতিপয় ব্যক্তি রাস্তার পানি নিষ্কাষণের পথ কালভার্টের মুখ বন্ধ করে বাড়ী ঘর নির্মান করায় এলজিইডি’র অর্থায়নের নির্মিত ওই পাকা রাস্তাটি ভেঙ্গে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।

বর্তমানে বর্ষার এ মৌসুমে সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তাটি হাটু পানিতে ডুবে যাওয়ায় বাজার সংলগ্ন স্থান সমুহে পথচারী, হাটে আসা লোকজন, বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীসহ সাপমারা ও দরবস্ত ইউনিয়নের ১০টি গ্রামের মানুষকে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এ ছাড়াও সরকারী অর্থায়নে নির্মিত পাকা রাস্তাটি পানি ও কাঁদা মাটির নীচে ডুবে থাকায় তা নষ্ট হয়ে যাওয়ার ফলে সরকারী অর্থের অপচয় হচ্ছে।

সাহেবগঞ্জ গ্রামের লোকজন বলেন, কিছুিদন আগেও এখানে জলাবদ্ধতা ছিল না। পানি নিষ্কাষনের জন্য সরকারী অর্থে নির্মিত যে কালভার্ট ছিল- তা দিয়েই সব পানি নেমে যাচ্ছিল। কিন্ত রাস্তার দু’ধারের লোকজন কালভার্টের মুখ বন্ধ করে বাড়ি-ঘর নির্মান করায় সাহেবগঞ্জ বাজার থেকে ঘাট পর্যন্ত পাকা সড়কটি বর্তমানে চলাচলের অয়োগ্য হয়ে পড়েছে। ওই এলাকার সূধীজনসহ সচেতন মহল- বন্ধ করে দেয়া কার্লভাটের মুখ খুলে দিয়ে জলাবদ্ধতা দুর করার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ জানান, কার্লভাটের মুখ বন্ধ করে দিয়ে পানি নিষ্কাশনের পথ অবরুদ্ধ করার কথা আমি শুনেছি- তবে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রঞণ করা হবে।

এ বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রামকৃষ্ণ বর্মন বলেন, যেহেতু ওই রাস্তাটি এলজিইডি’র অর্থায়নে নির্মিত হয়েছে- তাই রাস্তার পাশে সরকারী জায়গায় মাটি রাখা এবং অবৈধভাবে ঘর-বাড়ী তোলার কারণে রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে থাকলে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মাধ্যমে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(এসআরডি/এসপি/জুলাই ০৪, ২০২০)