নাটোর প্রতিনিধি : নাটোরের সকল বৈধ পশুর হাটে করোনাকালীনের উপযোগী হাট বাস্তবায়নে সরাসরি মাঠে থাকবে জেলা পুলিশ। হাটে যথাযথ স্বাস্থ্য বিধি মেনে, নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে বিক্রেতা ও ক্রেতা পশু কেনা-বেচা করবে। চাঁদাবাজি ও অতিরিক্ত খাজনা বা টোল আদায় বন্ধে পুলিশের থাকবে কঠোর অবস্থান। এছাড়া জাল টাকা চিহ্নিত করতে থাকবে বুথ। 

শনিবার সকালে নাটোরের বড়াইগ্রামের বনপাড়া কালিকাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে জেলার ৭ উপজেলার সকল পশু হাটের ইজারাদার ও গরু-ছাগলের খামারীদের সাথে পুলিশ সুপারের মত বিনিময় সভায় পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা পিপিএমবার এই তথ্য প্রদান করেন।

পুলিশ সুপার আরও বলেন, করোনাকালীন সময়ে আগামী ঈদ উল আযহা উপলক্ষে পশুর হাট বাস্তবায়নে জেলা পুলিশের থাকবে বিশেষ ভূমিকা। কোথাও কোন অবৈধ পশুর হাট গড়ে উঠতে দেয়া হবে না। পশুর হাটে সিটিজেন চার্টার বা নাগরিক সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি’র চার্ট টাঙ্গাতে হবে যেখানে নির্ধারিত খাজনা বা টোল সম্পর্কে লেখা থাকবে। কোন পরিবহনের কাছ থেকে কোন প্রকার টাকা নেয়া যাবে না। সকলকে মাস্ক পড়ে ও সেনিটাইজার দিয়ে হাত ধুয়ে পশুর হাটে ঢুকতে হবে। অজ্ঞান পার্টি যেনো কোন প্রকার অপতৎপরতা চালাতে না পারে এবং কেহ যেনো চাঁদাবাজি করতে না পারে তার জন্য পুলিশের একটি বিশেষ টীম সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে। পুলিশ সুপার স্থানীয় সুধী সমাজ, ব্যবসায়ী, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব ও সাংবাদিকদের এ বিষয়ে সহযোগিতা প্রদানের জন্য আহ্বান জানান।

বড়াইগ্রাম থানার অফিসার্স ইনচার্জ দিলিপ কুমার দাসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় জেলার ৭টি উপজেলা থেকে হাটের ইজারাদার ও খামারীগণ উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আসাদুজ্জামান, বনপাড়া পৌর মেয়র কেএম জাকির হোসেন, বড়াইগ্রাম উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা, জেলার বিভিন্ন থানার অফিসার্স ইনচার্জ, অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তা ও সাংবাদিকবৃন্দ।

(এডিকে/এসপি/জুলাই ০৪, ২০২০)