নাটোর প্রতিনিধি : নাটোরের বড়াইগ্রামের বনপাড়া হাইওয়ে থানার আওতাধীন ১৭০ কিলোমিটার মহাসড়কে এখন নেই কোন চাঁদাবাজি। হাইওয়ে থানা পুলিশের তৎপরতায় থেমে গেছে পথে পথে পরিবহন সেক্টরের চাঁদাবাজী। ফলে কুষ্টিয়া-বনপাড়া-ঢাকা, রাজশাহী-বনপাড়া-ঢাকা সহ উত্তরাঞ্চল থেকে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে চলাচলকারী ট্রাক, বাস সহ সব ধরণের যানবাহন চলাচল করছে নির্বিঘ্নে।

বনপাড়া হাইওয়ে থানা সূত্রে জানা যায়, এই থানার আওতায় রয়েছে পাবনার পাকশী ব্রিজ থেকে রাজশাহীর পবা এবং নাটোর অঞ্চলসহ গুরুদাসপুর পর্যন্ত ১৭০ কি.মি মহাসড়ক। থানার আওতাধীন রয়েছে পবা পুলিশ ফাঁড়ি, ঝলমলিয়া পুলিশ ফাঁড়ি ও পাকশী পুলিশ ফাঁড়ি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বছর খানেক আগে এই ১৭০ কি.মি মহাসড়কের দাশুড়িয়া মোড়, রাজাপুর, বনপাড়া, নাটোর বাইপাস, পুঠিয়া, বানেশ^র, কাটাখালি, পবা আমচত্ত্বর ও বড়াইগ্রাম থানার মোড় পয়েন্টে ট্রাক, লড়ি, কাভার্ডভ্যান থেকে নিয়মিত নেয়া হতো চাঁদা। কয়েকটি পরিবহন শ্রমিক সংগঠনের ব্যানারে এবং পাশাপাশি স্থানীয় পরিবহন শ্রমিকরা এই চাঁদা আদায় করতো। পরবর্তীতে হাইওয়ে থানার কড়া নিষেধাজ্ঞা, তদারকি ও তৎপরতায় প্রায় এক বছর ধরে বন্ধ সব ধরণের চাঁদাবাজি।

চাপাইনবাবগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী গরুবাহি একটি ট্রাকের চালক নাস্তা করতে বনপাড়া ফাইভ স্টার হোটেলের সামনে ট্রাক থামালে তার কাছে জানতে চাওয়া হয় পথে পরিবহন সংগঠন বা পুলিশকে চাঁদা দিতে হয়েছে কিনা? ট্রাক চালক সেলিম হোসেন এক কথায় বলেন ‘না ভাই, কেউ কোন চাঁদা চায়নি।’ রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী এসআর পরিবহনের চালক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সড়কে এখন আর কোন চাঁদাবাজী নেই।’

বড়াইগ্রাম উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি ও স্থানীয় পরিবহন শ্রমিক নেতা মোস্তফা ব্যাপারী জানান, সড়কে চাঁদা বন্ধ সহ নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে বনপাড়া হাইওয়ে থানা পুলিশের সাথে নিয়মিত সভা হচ্ছে। এখন আর মহাসড়কের কোথাও কোন চাঁদাবাজি হয় না।

বনপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শফিকুল ইসলাম বলেন, আমি ২০১৯ সালের ১ নভেম্বর যোগদান করার পর মহাসড়কে চাঁদাবাজি বন্ধে কার্যকরী ভূমিকা রাখার চেষ্টা করেছি। এখন যানবাহন থামিয়ে প্রথমেই প্রশ্ন করি কোথাও কি কোন চাঁদা দিয়েছেন কিনা। যখন ’না’ শব্দটি শুনি তখন খুব তৃপ্তি পাই।’ ওসি শফিকুল মহাসড়ককে নিরাপদ রাখতে ট্রাফিক আইন যথাযথভাবে মানতে চালক ও যাত্রীদের প্রতি আহ্বান জানান।

(এডিকে/এসপি/জুলাই ০৫, ২০২০)