আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সরকারের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি অব্যাহত থাকলেও টিকা গ্রহনকারী অভিভাবকদের স্বাস্থ্য সচেতনতা না থাকায় চরম ঝুঁকির মুখে পরেছে স্বাস্থ্য সহকারীরা। সারাদেশে এ পর্যন্ত প্রায় আড়াই শতাধিক স্বাস্থ্য সহকারী কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সরকারের নির্দেশনা থাকলেও সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির মাঠ পর্যায়ের সরকারীভাবে সকল স্বাস্থ্য সহকারীদের সুরক্ষা পোষাক প্রদান না করায় এবং টিকাদান কেন্দ্রে আসা টিকা গ্রহনকারী শিশুদের অভিভাবকেরা কোন স্বাস্থ্যবিধি না মানায় মাঠ কর্মীদের করোনা আক্রান্তর ঝুঁকি দিন দিন বেড়েই চলেছে।

সরকার সম্প্রসারিত টিকাদান কেন্দ্রের মাধ্যমে হাম-রুবেলা, পোলিও, যক্ষা, নিউমোকক্কাল জনিত নিউমোনিয়া, ধনুষ্টংকার, হেপাটাইটিস-বি ভাইরাস, সংক্রামক রোগ, অসংক্রামক রোগ, ডেংগু, চিকুনগুনিয়া এবং খাদ্য ও পুষ্টি বিষয়ক স্বাস্থ্য শিক্ষা প্রদান করে আসছে।

উজিরপুর উপজেলার বামরাইল ইউনিয়ন স্বাস্থ্য সহকারী নাজমুল হোসাইন জানান, টিকা গ্রহনকারী শিশুদের অভিভাবকেরা মাস্ক ব্যবহারে আগ্রহ না থাকায় এবং স্বাস্থ্য সচেতন না হওয়ায় তাদের মাধ্যমে করোনা সংক্রমিত হবার চরম ঝুকির মধ্যে রয়েছেন এলাকার স্বাস্থ্য সহকারীরা।

স্বাস্থ্য সহকারীদের সূত্র জানায়, করেনা ভাইরাস দেশে সংক্রমিত হবার পর থেকে এপর্যন্ত প্রায় আড়াই শতাধিক স্বাস্থ্য সহকারী কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। সরকারী ব্যাবস্থাপনায় সকল স্বাস্থ্য সহকারীদের সুরক্ষা পোষাক প্রাপ্যতার অনিশ্চয়তা এবং টিকা গ্রহনকারীদের অভিভাবকেরা স্বাস্থ্য সচেতন না হওয়ার ফলে এভাবে টিকাদান কর্মসূচী চলমান থাকলে স্বাস্থ্য সহকারীরা করোনা আক্রান্ত হলে দেশে টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়ন হুমকির মুখে পরবে বলেও জানান ওই স্বাস্থ্য কর্মী।

(টিবি/এসপি/জুলাই ০৫, ২০২০)