রণেশ মৈত্র


অবাক বিস্ময়ের সাথে জনগণ প্রত্যক্ষ করলো বিগত ২১ মার্চে অনুষ্ঠিত উপ-নির্বাচনগুলি। গোটা পৃথিবীর মতো বাংলাদেশ যখন করোনা ভাইরাসে থরথর করে কাঁপছে, সে কারণে যখন সারা দেশের মানুষ নির্বাচন বন্ধ রাখার আবেদন জানাচ্ছে, তখন জনতার দাবী, জনমত এবং বিদ্যমান সকল প্রতিকূল পরিস্থিতির প্রতি চরম অবজ্ঞা প্রদর্শন করে নির্বাচনের নামে ঐ দিন একটি প্রহসনের নাটক জনগণকে উপহার দিলেন নির্বাচন কমিশন।

ঢাকা-১০ আসনে ভোট যে আদৌ হয় নি-ভোটারেরা করোনা আতংকে ঘর থেকেই বের হন নি-তার প্রমাণও প্রদত্ত ভোট সংখ্যার মাধ্যমে সুস্পষ্টভাবে ধরা পড়েছে। সরকারিভাবেই জানা গেছে ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচনে ভোট পড়েছে মাত্র ৫.২৮ শতাংশ। তাই ঐ আসনের নির্বাচন জনগণ যে নীরবে বর্জন করেছেন তা বলাই বাহুল্য। তবু সকল নিয়ম-কানুন অগ্রাহ্য করে নির্বাচন কমিশন ঐ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেছেন-প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের একজনকে বিজয়ী বলেও নির্লজ্জভাবে ঘোষণা দিয়েছেন।

প্রার্থীরা ঐ ৫.২৮ ভাগ ভোট ভাগ করে সবাই কিছু কিছু করে পেয়েছেন এবং তার মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক ভোট যিনি পেয়েছেন-সেই আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত বলে ঘোষণাও দিয়েছেন। শতকরা ৯৫ ভাগ ভোটার ভোট না দিলেও ঐ প্রাথীকে ‘গণতান্ত্রিকভাবে বিজয়ী” ঘোষণা করে শীঘ্রই, সম্ভবত: এই নিবন্ধ সংবাদ-মাধ্যমে প্রকাশের আগেই, সরকারি গেজেট প্রকাশিত হবে। হয়তো বা তাঁর শপথ গ্রহণ পর্বও সমাধা হবে।

কিন্তু আমরা তো জানি, আইনের বিধান হলো, ‘শতকরা ১২.৫ ভাগের কম ভোট পেলে তাঁর জামানত বাজেয়াফত হবে। এই নিয়ম তো সকল প্রার্থীর ক্ষেত্রেই আজও প্রযোজ্য। তাই, এযাবত কালের নির্বাচনী ইতিহাস যতটুকু স্মরণ করতে পারি, ঢাকা-১০ আসনের উপ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নির্বাচিত ঘোষিত হলেও তাঁকে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি বলা যাবে না।

ভোটের ছবির বর্ণনা দিতে গিয়ে গত ২২ মার্চে প্রকাশিত দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের খবরে বলা হয়েছেঃ “নজিরবিহীন কম ভোটার উপস্থিতির মধ্য দিয়ে ঢাকা-১০, গাইবান্ধা-৩ ও বাগেরহাট-৪ আসনের উপনির্বাচনে ভোট গ্রহণ হয়েছে। ঢাকা-১০ আসনে ই.ভি.এম এ ভোট হলেও বাকী দুই আসনে ব্যালট পেপারে ভোট গ্রহণ করেছে কমিশন। গাইবান্ধা-৩ এ আওয়ামী লীগের এডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি বিজয়ী হয়েছেন। ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. শফিউল ইসলাম মহীউদ্দিন। তিনি ভোট পেয়েছেন মাত্র ১৫,৯৫৫ টি যা যে কোন একজন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের প্রাপ্ত ভোটের চাইতেও অনেক কম। এই কয়টি ভোট নিয়ে তিনি ঢাকা শহরের বিশাল নির্বাচনী এলাকা ঢাকা-১০ থেকে নির্বাচিত বলে ঘোষিত হয়ে বিশ্বরেকর্ড স্থাপন করলেন। তেমনি তাঁকে ঐ একমুঠ ভোট পাওয়া সত্বেও নির্বাচিত বলে ঘোষণা করে আর এক বিশ্ব রেকর্ড তৈরী করলেন আমাদের নির্বাচন কমিশন।

উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাস জনিত আতংক নিয়ে সকল মহল উপনির্বাচন স্থগিত রাখার দাবী জানালেও নির্বাচন কমিশন যেকোন মূল্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্তে অটল থাকে। তাঁদের দাবী, সংবিধানে বলা আছে, কোন সংসদীয় আসন কোন কারণে শূন্য ঘোষিত হলে, শূন্য ঘোষণার ৯০ দিনের মধ্যে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে হবে সংশ্লিষ্ট আসনে। তাই এই উপনির্বাচন স্থগিত করতে বা পিছাতে তাঁদের অপারগতা প্রকাশ করেন।

কিন্তু নির্বাচন কমিশনের চোখে কি পড়ে নি ঢাকা শহরের রাস্তাঘাট করোনা ভাইরাস জনিত কারণে একেবারেই জনশূন্য হয়ে পড়েছে? ঢাকা বস্তুত: একটি বিরান নগরীতে পরিণত হয়েছে। বহু আগেই স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষিত হয়েছে। সরকারের তরফ থেকে জনগণকে “স্বেচ্ছা-কোয়ারন্টাইনে” থাকতে বলা হয়েছে। হাটে-বাজারে ক্রেতার সংখ্যাও মারাত্মকভাবে হ্রাস পেয়েছে। কার্য্যত: সরকারিভাবে ঘোষণা না এলেও এক ধরণের জরুরী অবস্থা বিরাজ করছে সমগ্র বাংলাদেশ জুড়ে।

এমন একটা পরিস্থিতির মধ্যে সংসদ নির্বাচন, বা উপনির্বাচন যা-ই হোক না কেন, কোনক্রমেই কাম্য বা আকাংখিত ছিল না। জনগণের অভিমতের বিন্দুমাত্র তোয়াক্কা না করে নির্বাচন অনুষ্ঠান কি সংবিধান সম্মত? আমরা কি মনে করি “সংবিধানের জন্য মানুষ”? না, তা মনে করা যায় না কারণ সংবিধান মোতাবেক নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের অভিমতের প্রতিফলন ঘটাতে হলে সে নির্বাচন অবশ্যই হতে হবে নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু। এক্ষেত্রে এমনটি আদৌ ঘটেনি। কারণ নির্বাচন কমিশন মানতে নারাজ যে “সংবিধান জনগণের জন্যে”। নির্বাচন কমিশন এমন একটি নির্বাচন জোর করে অনুষ্ঠিত করে তার নিরপেক্ষতাই হারান নি-বরং জনমতের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন।
এবারে দেখা যাক, গাইবান্ধ-৩ আসনের নির্বাচনী পরিস্থিতি।

বাংলাদেশ প্রতিদিন পূর্বোল্লিখিত সংখ্যায় গাইবান্ধা-৩ আসনের নির্বাচনী পরিস্থিতির বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেছে,
“গাইবান্ধা-৩ (পলাশবাড়ি-সাদুল্যাপুর) সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে ভোটারদের কেন্দ্রগুলিতে কম উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। কেন্দ্রগুলিতে ঘুরে ভোটারদের দীর্ঘ সারিতে দঁড়িয়ে ভোট দেওয়ার দৃশ্য চোখে পড়ে নি। করোনা আতংক এবং প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা ও উদ্যোগ কম থাকায় ভোটারদের উপস্থিতি ছিল কম। প্রতিটি কেন্দ্রে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা থাকলেও তা ব্যবহার করেছেন খুবই অল্প সংখ্যক মানুষ। এ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি বিজয়ী হয়েছেন। এই কেন্দ্রেও সাকুল্যে ভোট প্রায় ৩৫ থেকে ৩৭ ভাগ পড়েছে। আর বিজয়ী প্রার্থী পেয়েছেন ৩০ ভাগ ভোট। সেক্ষেত্রেও অধিকাংশ ভোটার অনুপস্থিত থাকায় এ ভোটও সর্বজনীন গ্রহণ যোগ্যতা পায় নি।

নিবন্ধটি লেখা শুরুর দিন ২২ মার্চ শেষ করতে না পেরে পরদিন ২৩ মার্চে এসে বাকী অর্ধেকটা লিখে সমাপ্তি টানতে হচ্ছে। ঢাকা-১০ এবং গাইবান্ধা-৩ সম্পর্কে প্রথম দিন লিখলেও বাগেরহাট-৪ আসনের উপনির্বাচনের হাল হকিকত ৫/৬ টা পত্রিকা ঘেঁটেও পাওয়া যায় নি। শুধুমাত্র ‘সংবাদ’ লিখেছে বাগেরহাট-৪ (মোরেলহাঞ্জ-শরণখোলা) সংসদীয় আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইউনুস আলী সংবাদের বাগেরহাট প্রতিনিধিকে জানান, এই আসনে দুইজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন। তাঁরা হলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এডভোকেট আমিরুল আলম মিলন এবং জাতীয় পার্টির সাজন কুমার মিস্ত্রী। এ খবরটুকু পরিবেশিত হয় ২২ মার্চের সংবাদে। কিন্তু আজ ২৩ মার্চের কোন পত্রিকাতেই কে বিজয়ী ঘোষিত হয়েছেন এবং কত ভোটে তার কোন উল্লেখ না দেখে বিস্মিত বোধ করছি।

বস্তুত: ভোট ও ভোটারদের এবং নির্বাচন কমিশনের ধরণ ধারণ দেখে পত্রিকাগুলি সম্ভবত: নিশ্চিত হয়েছে যে তাদের পাঠক-পাঠিকারা এই উপনির্বাচনগুলির খবর জানতে ন্যূনতম আগ্রহী নন। সবাই জানেন, ফলাফল পূর্ব-নির্ধারিত এবং নির্বাচনে কোন ভোটার ভোট কেন্দ্রে যান বা না যান তাতে নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণা আটকাবে না। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের অম্ল মধুর অভিজ্ঞতা তো দেশবাসীর মনে আজও জাগরুক।

সর্বাধিক বাস্তববাদী শিরোনাম দিয়েছে ২২শে মার্চের ভোরের কাগজ। তাঁদের শিরোনাম ছিল “একটি করোনা গ্রস্ত ভোটের আদ্যোপান্ত।” পত্রিকাটি লিখেছে, ‘মুখে মাস্ক, টেবিলে হ্যা- স্যানিটাইজার, ভোটার তালিকা ও ই.ভি.এম মেশিন নিয়ে ভোটারদের অপেক্ষায় বসে আছেন নির্বাচন কর্মকর্তা এবং পোলিং এজেন্টারা। সকাল গড়িয়ে দুপুর। দুপুর গড়িয়ে বিকেল। দিনভর ভেতর-বাহিরে কর্তব্যরত পুলিশ-আনসার সহ নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্তরা। এরই মধ্যে ঘড়িতে বিকেল পাঁচটা। ভোট গ্রহণ শেষ। ভোটের এমন চিত্র ছিল জাতীয় সংসদের ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচনে।

সরেজমিনে ধানমন্ডি, কলাবাগান, নিউ মার্কেট ও হাজারীবাগ এলাকায় বেশ কয়েকটি ভোটকেন্দ্র ঘুরে ভোরের কাগজ প্রতিনিধি দেখেছেন, স্বল্প সংখ্যক কর্মী সমর্থক ছাড়া কোন কেন্দ্রেই ভোটারদের লাইন ছিল না। স্থানীয় বাসিন্দা, নির্বাচন কর্মকর্তা ও ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে তিনি জেনেছেন, এমনিতেই ভোট ব্যবস্থার প্রতি মানুষের অনাস্থা তার উপর চলমান করোনা প্রস্তুতিতে আতংকিত ভোটাররা। এ ছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ভোটের কয়েকদিন আগে থেকেই ফাঁকা হতে শুরু করে রাজধানী ঢাকা। আর ঢাকা শহরে যাঁরা অবস্থান করছেন তাঁরাও বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া খুব একটা বাইরে বেরুচ্ছেন না। তদুপরি, ভোটের আগের দিন আই ই ডি সি আর জানায়, ই ভি এম পদ্ধতিতেও করোনার ঝুঁকি আছে। এই তথ্য গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ায় ভোটাররা আরও আতংকিত বোধ করেছেন।

এহেন পরিস্থিতি বজায় থাকলেও নির্বাচিত বা পরাজিত হয়েছেন প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীরা। প্রার্থীদের ভোট হলো (ডাকা-১০ আসনে) আওয়ামী লীগ প্রার্থী ১৫,৯৫৫ এবং বিজয়ী ঘোষিত হলেন ঐ দলের শফিউল ইসলাম হীউদ্দিন। বিএনপি প্রার্থী শেখ রবিউল ইসলাম-৮১৭; প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের কাজী মোহাম্মদ আবদুর রহিম-৬৩; মুসলিম লীগের নবাব খাজা আলী হাসান আশকারী-১৫ এবং বাংলাদেশ কংগ্রেসের মিজানুর রহমান-১৮ ও জাতীয় পার্টির হাজী মোহম্মদ শাহজাহান-৯৭।

গাইবান্ধা এবং বাগেরহাটের পরিস্থিতি ঢাকা-১০ এর মত করুণ ছিল না। তবে মোটামুটি ৩৫ ভাগ ভোটার ঐ দুটি এলাকায় ভোট দিয়েছেন বলে জানা যায়।

ঢাকা-১০ অবশ্য নজিরবিহীন রেকর্ড করেছে। প্রার্থীদের প্রাপ্ত ভোটসংখ্যা দৃষ্টে নিশ্চিন্তেই বলা যায় দলগুলি তাঁদের কর্মীদেরকেও এবং প্রার্থীরা তাঁদের আত্মীয় স্বজনকেও ভোট কেন্দ্রে টানতে পারেন নি। নইলে ভোটকেন্দ্রের চিত্র এবং প্রার্থীদের ভোট সংখ্যা এমন হতে পারে না।

কেমন নির্বাচ চাই

১৯৫৪ সালে, ১৯৭০ সালে এবং তার পরবর্তীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারগুলির পরিচালনায় যে সকল সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, এক কথায় বলা যায়, তেমন নির্বাচনই জনসাধারণের কাম্য। মানুষ তখন ভোটের উপর আস্থা রেখেছেন। আর এই ২০২০ সালের অভিনব নির্বাচনে একজন সিনিয়র নির্বাচন কমিশনার বললেন, একজন ভোটারও যদি তাঁর ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন তাহলেই সে নির্বাচনকে “অংশ গ্রহণ মূলক নির্বাচন” বলা হবে। তাজ্জব ব্যাপার। এভাবে ভোটারদের প্রতি অবমাননা সূচক বক্তব্য অতীতে কদাপি শুনি নি। তাই নির্বাচনী আইনে নিম্নোক্ত পরিবর্তন আনা হোকঃ-

এক. শতকরা ৫০ ভাগের বেশী ভোট কোন প্রার্থী না পেলে সে নির্বাচন বাতিল করতে হবে;

দুই. ই.ভি. এম এর নির্বাচন তুলে দিতে হবে;

তিন. সাম্প্রদায়িক প্রচার বন্ধ করতে হবে;

চার. ভোট কেন্দ্রে গেলে বা না গেলে বিপদ আছে বলে কোন প্রার্থী বা তাঁর কর্মীরা ভোটারদেরকে ভীতি প্রদর্শন করলে অভিযোগ পাওয়া মাত্র দায়ীদেরকে গ্রেফতার করে অন্যূন দুই বছর সশ্রম কারাদ-ের বিধান করতে হবে;

পাঁচ. নির্বাচনে প্রার্থীদের জামানত জমা দেওয়ার বিধান অপ্রয়োজনীয় বিধায় তা তুলে দিতে হবে। শুধু ভোটার তালিকা ক্রয় বাধ্যতামূলক থাকবে বর্তমানের মত;

ছয়. নির্বাচনী প্রচারে মাইক সকাল ১০ টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্য্যন্ত ব্যবহার করা যাবে তবে সাউ- অবশ্যই নিয়ন্ত্রণ করতে হবে;

সাত. শতকরা ৭৫ ভাগ ভোটার ভোট না দিলে সে নির্বাচনকে বাতিল বলে গণ্য করে নতুন নির্বাচন দিতে হবে।
জনমত উপেক্ষা করে করোনা ভাইরাসের বিস্তারের বাস্তব আতংকের মধ্যে অনুষ্ঠিত এই তিনটি উপনির্বাচন বা নিদেন পক্ষে ঢাকা-১০ আসনে ভোটারবিহীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত করায় নির্বাচন কমিশন অবিলম্বে পদত্যাগ করুন। তাই বলি
নির্বাচন কমিশন হঠ যাও।

লেখক : সভাপতিমন্ডলীর সদস্য, ঐক্য ন্যাপ, সাংবাদিকতায় একুশে পদক প্রাপ্ত।