আন্তজার্তিক ডেস্ক : হঠাৎই একটা ফোন আসে পুলিশের কাছে। বাড়িতে একটি সদ্যোজাত শিশুর মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে বলে জানান ফোনের ও-পারের লোকটি। ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে, নিজের সন্তানকে আট বছর আগে খুন করেছিলেন মা।

শুধু তা-ই নয়, ১৯৯৬ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে নিজের সাতটি সন্তানকে খুন করেছেন মেগান হান্টসম্যান নামের বছর উনচল্লিশের ওই মার্কিন মহিলা। তাদের দেহ একটি কার্ডবোর্ডের বাক্সে ঢুকিয়ে বাড়ির গ্যারাজে রেখে দেন তিনি। মেগানকে রবিবার গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

পুলিশের মুখপাত্র মাইকেল রবার্টস জানান, ফোনটা এসেছিল মেগানের স্বামীর কাছ থেকে। তবে এত বছর ধরে তিনি চুপ করে ছিলেন কেন, বা আদৌ তিনি এ বিষয়ে কিছু জানতেন কি না, সে প্রশ্নের কোনো উত্তর নেই বলেই জানিয়েছেন রবার্টস। মেগান ও তাঁর স্বামী আগে থাকতেন উটা-র একটি বাড়িতে। পরে তাঁরা সল্ট লেক সিটিতে চলে আসেন। উটার পুরনো বাড়িটির মালিক মেগানের শ্বশুর। মেগানের স্বামীর দাবি, শনিবার ওই বাড়ির গ্যারাজ পরিষ্কার করতে গিয়েই এক শিশুর মৃতদেহ দেখতে পান তিনি। আর সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশে খবর দেন।

মাইকেল রবার্টস জানিয়েছেন, শিশুগুলির দেহ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে উটার গবেষণাগারে। অভিযুক্ত মেগান ও তাঁর স্বামীর ডিএনএ-ও সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া যাবে, নিহত সন্তানগুলি তাঁদেরই কি না। তবে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে, সাত সাতটি শিশুকে মেরে ফেলার ঘটনা এত দিন ধরে কী করে গোপন ছিল?

ধন্দ বাড়িয়েছে মেগানের দীর্ঘ দিনের প্রতিবেশী শ্যারন চিপম্যানের জবানবন্দি। তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, “প্রতিবেশী হিসেবে খুব ভাল ছিল মেগান। আমি মাঝেমধ্যেই আমার ছোট্ট নাতিকে ওর কাছে রাখতাম দেখাশোনার জন্য। খুবই যত্ন নিত মেগান। ও এ রকম করতে পারে এটা ভাবা যায় না।” শ্যারন আরও জানান, উটার পুরনো বাড়িতে মেগানের তিন মেয়ে থাকে এখনও। ওদের বয়স ২০, ১৮ ও ১৩। ওরাও এই ব্যাপারে কিছু জানত না বলেই প্রাথমিক ভাবে অনুমান পুলিশের।

সব মিলিয়ে “বিষয়টা অদ্ভুত ও মর্মান্তিক” বলেই ব্যাখ্যা করলেন রবার্টস। রবিবার থেকেই স্থানীয় থানার লক আপে বন্দি রয়েছেন মেগান। তাঁর কোনও আইনজীবী রয়েছেন কি না সে সম্পর্কেও কিছু জানাতে পারেননি রবার্টস।

(ওএস/এটি/এপ্রিল ১৯, ২০১৪)