সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা, কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) : কৃষক তালিকা প্রণয়নে অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগে নির্বাচিত কৃষকদের তালিকা বাদ দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। সরকার নির্ধারিত মূল্যে ধান ক্রয়ের জন্য মঙ্গলবার ফের লটারীতে ৭শ ৭৩ জন প্রকৃত কৃষক নির্বাচিত হয়েছেন। 

একটি পৌরসভা ও ১৩টি ইউনিয়নে ৮ হাজার ৫ শ ৭৯ জন কৃষকের তালিকা তৈরি করে কৃষি বিভাগ ও ইউনিয়ন পরিষদ। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এ লটারীর উদ্বোধন করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মইন উদ্দিন খন্দকার।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ শামছুদ্দিন আহম্মেদ, খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সঞ্জয় মোহন দত্ত, নওপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুল্লাহ- আল সুমন, উপজেলা কৃষকলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল- ফারুক সানা সহ গণমাধ্যম কর্মীরা। লটারী অনুষ্ঠানের আগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মইন উদ্দিন খন্দকার বলেন, ১ হাজার ৪০ টাকা মন দরে মোট ২ হাজার ৩ শ ১৭ মেট্রিকটন ধান প্রকৃত কৃষকের কাছ থেকে ক্রয় করা হবে। যদিও এ উপজেলায় ধান উৎপাদন হয়েছে ৮৯ হাজার ৭শ ৭৬ মেট্রিকটন।

তিনি জানান, সর্বনিম্ন প্রতিজন কৃষকের কাছ থেকে ৩ মেট্রিকটন করে ধান ক্রয় করা যাবে। সে লক্ষ্যে ৭ শ ৭৩ জন কৃষক নির্বাচিত হবেন।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ শামছুদ্দিন আহম্মেদ জানান, গত ১৩ মে কৃষক নির্বাচনে লটারীতে ২ হাজার ৩ শ ১৭ জন কৃষক নির্বাচন করা হয়েছিল। কিন্তু খাদ্য বিভাগের পরিদর্শক ওয়াহেদুর রহমান অনিয়ম দূর্নীতির আশ্রয়ে ওই তালিকা থেকে প্রকৃত কৃষকের নাম বাদ দিয়ে অবৈধ ভাবে ২ শতাধিক কৃষকের নাম অন্তর্ভূক্ত করেন। পরে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কৃষি কর্মকর্তার নিকট ধরা পড়লে ওই তালিকা বাদ দিয়ে নতুন তালিকা করা হয়।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জানান, অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগে ওই কর্মকর্র্তাকে খুলনায় শাস্তিমূলক ভাবে বদলি করা হয়েছে। খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সঞ্জয় মোহন দত্ত বলেন, তালিকা চূড়ান্ত হলেই খুব দ্রুত ধান ক্রয় শুরু করব।

(এসবি/এসপি/জুলাই ০৭, ২০২০)