ছাতক (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি : ছাতকে এক ডাকাত সর্দার আটকের ঘটনা নিয়ে পুলিশ-ডাকাত বন্দুক যুদ্ধে ওসি, ৪এসআই, ৬কনষ্টেবলসহ ১২জন আহত হয়েছে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি পাইপগান উদ্ধার করা হয়। ঘটনার সময় ডাকাতের সাথে পুলিশের ২১ রাউন্ড গুলি বিনিময় হয়েছে।

মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টায় উপজেলার চরমহল্লা ইউনিয়নের বৌলাখালী রাঙাদিগা ব্রীজের এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ছাতক থানা ও জাউয়া তদন্ত কেন্দ্রের একদল পুলিশের যৌথ অভিযানে চরমহল্লা ইউনিয়নের সেওতরচর গ্রামের নিজ এলাকা থেকে ডাকাত সর্দার ইলিয়াছ আলী (৩৬) কে আটক করে। আটকের পর তাকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধারে যাবার পথে স্থানীয় বৌলাখালী রাঙাদিগা ব্রীজের উপর আসা মাত্রই ইলিয়াছ ডাকাতের সহযোগিরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ও ককটেল ছুঁড়তে থাকে। এ সময় শুরু হয় পুলিশ-ডাকাত বন্ধুক যুদ্ধ। প্রায় ঘন্টাব্যাপী বন্দুক যুদ্ধে আহত হন ছাতক থানার ওসি, এসআই ও ডাকাতসহ ১২জন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন, ওসি শাহজালাল মুন্সি, এসআই চম্পক, এসআই হারুনুর রশিদ চৌধুরী, এসআই সামছুল আরেফিন, এসআই আব্দুর রশিদ সরকার, কনষ্টেবল রনজিৎ, হাফিজ, সালমান, প্রতাব, সুহেল, বিল্পব। এ সময় ডাকাত সর্দার ইলিয়াছের পায়ে বন্দুকের গুলি লেগে আহত হয়। ঘটনার সময় ডাকাতিতে ব্যবহৃত ১টি পাইপগান, ১২টি ককটেল, ৩ রাউন্ড কার্তুজ ও ৬টি দেশীয় ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। তবে আর কোন ডাকাতকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি। গুরুতর আহত ডাকাত সর্দার ইলিয়াছকে চিকিৎসার জন্যে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ছাড়া আহত থানার ওসি, ৪জন এসআই ৬জন কনষ্টেবলকে ছাতক হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। ছাতক থানার ওসি শাহজালাল মুন্সি জানান, ডাকাত দলের সাথে পুলিশের ২১ রাউন্ড গুলি বিনিময় হয়েছে। এছাড়া ডাকাত ইলিয়াছ আলীর বিরুদ্ধে ডাকাতি, ছিনতাইসহ ১০টি মামলা রয়েছে বলে তিনি জানান।
(সিএম/এএস/আগস্ট ১৩, ২০১৪)