গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি : ভাদ্র মাসের গরমে রসালো ফল তাল। তালের রসের পিঠা সবাই পছন্দ করে। কিন্তু এখন পাকা তালের চেয়ে কচি তালের শাঁসের চাহিদাই বেশী। পাকার আগেই কঁচি তাল গ্রাম থেকে চলে আসছে শহরে। এখন শহরের অলিগলিতে মিলছে এই তালের কচি শাঁস।

তালের শাঁস খাওয়ার এখনই সময়। গরমে একটু স্বস্তি পেতে সাধারণ মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে মধুমাসের এই ফল। গৌরীপুরে কাঁচা তাল নিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে আসা কচি তাল খুচরা বিক্রি করছে তারা। এই তাল বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছে অনেক মানুষ। সব শ্রেণি-পেশার মানুষ এই মৌসুমি ফল কিনতে ভিড় করছে। তালে রয়েছে প্রতি ১০০ গ্রামে ০.৮ গ্রাম খাদ্যোপযোগী খনিজ পদার্থ, ২০.৭ গ্রাম শর্করা, ০.৮ গ্রাম আমিষ, ০.৫ গ্রাম আঁশ। পানির অভাব পূরণ করতে এর মধ্যে আছে ৭৭.৫ ভাগ জলীয় অংশ। ০.৫ গ্রাম খাদ্য আঁশ থাকায় এটি হজমে সহায়ক।

তাল শাঁস বিক্রেতা উপজেলার ডেকুরা গ্রামের বাচ্চু মিয়া জানান, সিজনের শুরুতেই বিভিন্ন এলাকায় তালগাছের মালিকদের সাথে যোগাযোগ করে গাছের সব কচিতাল কিনে নিতে হয়। তারপর বিক্রির উপযোগী হলে তা পেরে এনে কচি শাঁস কেটে কেটে বিক্রি করা হয়। এসময়ে কোন কাজ থাকেনা তাই তাল শাঁস বিক্রি করে কিছু আয় করার চেষ্টা চলে। তবে এবার করোনার কারনে তালশাঁসের চাহিদা কম।

(এস/এসপি/জুলাই ০৮, ২০২০)