জামালপুর প্রতিনিধি : বার্ধক্যজনিত অসুস্থ প্রবীণ সাংবাদিক একেএম মোশাররফ হুসেন ও তার মেয়ে মিতুকে বাঁচাতে পাশে দাঁড়িয়েছে জামালপুর জেলা সমিতি ইউকে। এ সমিতির কয়েকজন মানবিক মানুষ ওই সাংবাদিক ও তার মেয়েকে ব্যক্তিগতভাবে ৪০ হাজার টাকা আর্থিক অনুদান দিয়েছেন।

জামালপুর জেলা সমিতি ইউকে'র পক্ষে মঙ্গলবার (৭ জুলাই) রাতে সাংবাদিক মোশাররফ হুসেনের হাতে টাকা তুলে দেন জামালপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি হাফিজ রায়হান সাদা, সহ-সভাপতি দুলাল হোসাইন, জামালপুর সাংবাদিক নির্যাতন কমিটির সাধারণ সম্পাদক শওকত জামান ও প্রেসক্লাব কর্মকর্তা সাইফুল আলম খান লিপন।

বিনা চিকিৎসায় অর্ধহারে অনাহারে দিন কাটছে প্রবীণ সাংবাদিক মোশাররফ হুসেনের। হৃদরোগ, নিউরো, উচ্চ রক্তচাপ ও শ্বাসকষ্টে একবছর ধরে তিনি শয্যাশায়ী। অর্থাভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না মৃত্যুপথযাত্রী প্রবীণ এই সাংবাদিক। ৩৪ বছরের সাংবাদিকতায় তিনি ইত্তেফাক ও দৈনিক বাংলায় কাজ করেছেন।

কিডনি বিকল হয়ে অসুস্থ সাংবাদিক মোশাররফ হুসেনের ছোট মেয়ে মিতুও শয্যশায়ী। সাপ্তাহে দুইদিন কিডনি ডায়ালাইসিস করাতে হয়। বড় ছেলে ব্যাংক কর্মকর্তা ফেরদৌস হোসেন লিটন থেকেও নেই। বাবার খোঁজ নেয় না। এখন পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম বড় মেয়ে আফরোজা বেগম নিভা। তিনি জামালপুর পৌরসভায় মাস্টাররোলে ৫ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করেন। একদিকে বাবার চিকিৎসা অন্যদিকে কিডনি ডাইয়ালাইসিসের মতো ব্যয়বহুল চিকিৎসায় বোনকেও বাঁচিয়ে রাখতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।

আফরোজা বেগম নিভা বলেন, টাকার অভাবে আমার বাবাকে চিকিৎসা করাতে পারছিবনা। চিকিৎসার টাকা তো দূরে থাক, ঠিকমত খাবারের যোগান দিতে হিমশিম খাচ্ছি। বাবা সাংবাদিক একেএম মোশাররফ হুসেন ও বোন মিতুকে বাঁচাতে সমাজের হৃদয়বান ও বিত্তবান ব্যক্তিসহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছেন তিনি।

জামালপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি হাফিজ রায়হান সাদা বলেন, প্রবীণ সাংবাদিক মোশাররফ হুসেন ও তার মেয়ে মিতুকে বাঁচাতে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। ইতোমধ্যে জামালপুর জেলা সমিতি ইউকে'র কিছু মানবিক মানুষ পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাদের মতো দানশীল মানবিক মানুষরা এগিয়ে আসুন। বাঁচান সাংবাদিক মোশাররফ ও তার মেয়ের জীবন।

(ওএস/এসপি/জুলাই ০৮, ২০২০)