সঞ্জীব কুমার দাস, কাপাসিয়া (গাজীপুর) : করোনা কালিন সময়ে কোরবানী ঈদ। আসন্ন কোরবানী ঈদকে সামনে রেখে কাপাসিয়া উপজেলার কড়িহাতা ইউনিয়নের ইকুরিয়া গ্রামের হ্যান্ডসেক এগ্রো প্রা: লি: গরুর খামারে কোরবানী জন্য প্রায় শতাধিক দেশীয় নানা প্রজাতির গবাদি পশু বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। 

সরকারী অনুদান ছাড়াউ এলাকার যুকবরা এ খামারটি গড়ে তুলেছে। এতে লাভের মুখ দেখবে বলে এমনটাই আশা করছেন খামারের দায়িত্বশলি ব্যাক্তিরা। গত প্রায় ৩বছর হলো এ খামারটি হ্যান্ডসেক এগ্রো প্রা: লি: নামে এলাকার বেকার ৩০ জন সদস্য নিয়ে কার্যক্রম শুর করা হয়। নিজেদের অর্থায়নে প্রায় ৬৫ লাখ টাকা খরচ করে এ খামারটি দাড়িছে। শুরু থেকেই কয়েকটি গবাদি পশু লালন পালনে মধ্য দিয়ে এ ফার্মের যাত্রা শুরু হয়।

শিতলক্ষা নদীর পাড় ঘেষে এ এই ফার্মটি দেখার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকতারাও দেখবালের দায়িত্ব নিয়েছে। উপজেলা প্রাণী সম্পাদক কর্মকতা ও নিয়মিত ভাব খোজখবর রাখছেন। নিজস্ব তৈরী গৌ খাদ্য সাইলেজ, খাস, ভুষি দিয়ে গরুর খাবার খাওয়ানো হয়। এখানে পশু মোটাতাজা করনে কোন প্রকার ভেজাল ঔষধ ও খাবার খাওয়ানো হয় না। এ কারণে এলাকার মানুষের নিকট আমাদের খামারের গরুর চাহিদা রয়েছে। গরু বাজারে নিতে হয় না। ক্রেতারা এসে খামার থেকে গরু কিনে নিয়ে যায়।

হ্যান্ডসেক এগ্রো খামারীর চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান রুবেল জানান,এ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এলাকার বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের কিছুটা হলেও লাঘব হয়েছে। এ ছাড়া দেশে গৌমাংস চাহিদা পুরণে অনেকটা সহায়ক হিসেবে কাজ করছি। তিনি জানান প্রতিষ্ঠানের লভাংশ দিয়ে বেকারত্ব অভিশাপ থেকে মুক্তির জন্য আরো প্রকল্প করার পরিকল্পনা রয়েছে। সরকারের আর্থিক সহায়তা পেলে প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ করার সহজ হতো। প্রতিষ্ঠানের উপদেষ্টা মোস্তাফিজুর রহমান সেলিম জানান, প্রতি বছর গরু পালনে আমাদের কম বেশী লাভ হয়েছে।

এ ঈদে গরুর দাম ভাল থাকলে আশা করি ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা লাভ হবে। তবে করোনা কালিন গবাদি পশুর বাজার কেমন যাবে তা বুঝে উঠতে পারছিনা। খামারী মামুন সরকার দাবী করে বলেন, এলাকায় দেশী গবাদি পশু খামার বড় আকারে প্রথম আমরা করেছি। আমাদের খামার দেখে উৎসাহী হয়ে এলাকায় ১টি মহিষ খামার ও আরো ১টি গরুর খামার হয়েছে। উৎসাহী হয়ে দিনদিন আরো খামারী বাড়বে এমনটি প্রত্যাশা করছেন তিনি।

উপজেলা প্রাণী সম্পদ আনিসুর রহমান জানান, ইকুরিয়া হ্যান্ডসেক এগ্রো প্রা: লি: গবাদি খামারে আমার নিয়মিত যাতায়ত রয়েছে। এটি পরিবেশ বান্ধব ও সফল গবাদি পশু খামার। আমার জানা মতে এ খামারে গবাদি পশুদের ভেজাল খাবার ও ভেজাল ঔষধ দেয়া হয় না। ফলে এ খামারের পশু মাংস স্বাস্থ্যসম্মত।

(এসডি/এসপি/জুলাই ০৯, ২০২০)