টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম এমপি বলেছেন, সারাদেশে নদী ভাঙনরোধে স্থায়ী প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার নদী ভাঙনরোধে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। পর্যায়ক্রমে নদী ভাঙন কবলিত এলাকাগুলো চিহ্নিত করে প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে। প্রকল্পগুলোর কাজ শেষ হলে আগামি ৫-৬ বছরের মধ্যে দেশের কোথাও নদী ভাঙনের সৃষ্টি হবে না। বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) দুপুরে বঙ্গবন্ধুসেতুর পূর্বপাড়ে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার গোহালিয়াবাড়ী ইউনিয়নে যমুনা নদীর ভাঙন কবলিত এলাকায় পরিদর্শন শেষে উপমন্ত্রী এসব কথা বলেন। 

মন্ত্রী বলেন, টাঙ্গাইলে অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে ডিসি এবং এসপি মহোদয়কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে টাঙ্গাইলে প্রায় ৬১০ কোটি টাকা ব্যয়ে পাঁচটি প্রকল্পের কাজ চলছে। গোহালিয়াবাড়ী ইউনিয়নে নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত ১.৫৩ কিলোমিটার এলাকায় নদী ভরাটের কাজ করা হবে।

তিনি আরো বলেন, বেলটিয়া গ্রামে নদী ভাঙনে ঘর-বাড়ি হারানো মানুষকে সরকারি উদ্যোগে পুর্নবাসন করা হবে। নদীর পানি শুকিয়ে গেলে ড্রেজিংয়ের বালি দিয়ে ভরাট করে যার যেখানে ঘর-বাড়ি ছিল সেখানেই তাদের ঘর-বাড়ি নির্মাণ করে দেয়া হবে। এ সময় যমুনার ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত ৩৭টি পরিবারকে নগদ ১০ হাজার করে টাকা ও খাদ্য সামগ্রী প্রদান করা হয়।

যমুনার ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে নগদ টাকা ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণকালে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- স্থানীয় সংসদ সদস্য হাসান ইমাম খান সোহেল হাজারি, টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. আতাউল গনি, পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়, পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল মতিন, টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সিরাজুল ইসলাম, কালিহাতী উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীম আরা নিপা ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহরিয়ার রহমান প্রমুখ।

উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপাড়ে দ্বিতীয় নদী রক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে শনিবার(৪ জুলাই) রাতে ২৯টি ও বুধবার(৮ জুলাই) বিকালে ১৭টি বাড়ি যমুনার পেটে চলে যায়। ইতোমধ্যে অবৈধ বালু উত্তোলনের কারণে নদী তীরবর্তী শ’ শ’ বাড়ি-ঘর যমুনার পেটে চলে গেছে এবং অনেকগুলো হুমকির মুখে রয়েছে।

(আরকেপি/এসপি/জুলাই ০৯, ২০২০)