স্টাফ রিপোর্টার : সদ্য বন্যা পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ লাভ করেছে দেশের প্রায় ১৪টি জেলা। এরই মধ্যে ফের বন্যা পরিস্থিতি অবনতির দিকে যাচ্ছে। ব্রহ্মপুত্র-যমুনা, দেশের উত্তরাঞ্চলের তিস্তা-ধরলা এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আপার মেঘনা অববাহিকার প্রধান নদীগুলোর পানি বাড়ছে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র গতকাল বৃহস্পতিবার জানায়, দেশের কোনো নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে না। তবে শুক্রবার (১০ জুলাই) তারা বলছে, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের তিনটি নদীর পানি ৪টি পয়েন্টে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

অন্যদিকে তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি আগামী ৭২ ঘণ্টায় সময় বিশেষে দ্রুত বাড়তে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি কমছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টা স্থিতিশীল থাকতে পারে। শুক্রবার দুপুরে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র এ তথ্য জানিয়েছে।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর এবং ভারত আবহাওয়া অধিদফতরের গাণিতিক আবহাওয়া মডেলের তথ্যানুযায়ী, আগামী ৭২ ঘণ্টায় দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং তৎসংলগ্ন ভারতের আসাম, মেঘালয়, হিমালয় পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ ও বিহার প্রদেশে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। ফলে এ সময়ে ব্রহ্মপুত্র-যমুনা ও আপার মেঘনা অববাহিকার প্রধান নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে।

১০১টি পর্যবেক্ষণাধীন পানি সমতল স্টেশনের মধ্যে ৫৭টি বাড়ছে, ৪২টিতে কমছে এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২টি স্টেশনের পানি। তার মধ্যে ৪টি স্টেশনের পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সুরমা নদীর কানাইঘাট অংশে বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে, সুরমার সুনামগঞ্জ অংশে ১৭ সেন্টিমিটার, জাদুকাটার লরেরগড় অংশে ২৩ সেন্টিমিটার এবং গুড় নদীর সিংড়া অংশে বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় (বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত) উল্লেখযোগ্য বৃষ্টিপাত হয়েছে সুনামগঞ্জে ১৮৩, লাল্লাখালে ১২৪, লামায় ৭৮, কুষ্টিয়ায় ৬০, ছাতকে ১৭৫, লরেরগড়ে ১০৪, মহেশখোলায় ৭০, দুর্গাপুরে ৬০, জাফলংয়ে ১২৮, চিলমারীতে ১০৩, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৬০ ও টাঙ্গাইলে ৬০ মিলিমিটার। তবে এই সময়ে বাংলাদেশ সংলগ্ন ভারত অংশে উল্লেখযোগ্য বৃষ্টিপাত হয়নি।

(ওএস/এসপি/জুলাই ১০, ২০২০)