নাটোর প্রতিনিধি : নাটোরের গুরুদাসপুরে ফাতেমা খাতুন নামে ৫ বছরের এক শিশুকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে সোনালী আক্তার নামে ১৪ বছরের এক কিশোরীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মশিন্দা ইউনিয়নের মধ্যচড়পাড়া গ্রামে। এ ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সোনালীকে আটক করেছে গুরুদাসপুর থানা পুলিশ।

শুক্রবার দুপুরে নাটোর আদালতে কিশোরী সোনালী এই হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৯ জুন বেলা ৪টার দিকে শিশু ফাতেমাকে যখন তার বাবা-মা খুঁজে পাচ্ছিল না। শিশুটির মা মিনারা বেগম তখন প্রতিবেশি দেরেশ উদ্দিনের মেয়ে সোনালী (১৪) কে বলে আমার মেয়ে ফাতেমাকে দেখছো কি? এমন প্রশ্নে সোনালী বলে পুকুরে গোসল করতে গিয়ে পুকুরে আমার নাকফুল হারিয়ে গেছে। সেটা খুঁজতে হবে। এমন কথাতে শিশুটির মা পুকুর পাড়ে গেলে শিশুটির সেন্ডেল দেখতে পায়। পরে পুকুরে নেমে তার লাশ পায়। শিশুটির মায়ের চিৎকারে এলাকাবাসী এসে বলে শিশুটি পানিতে ডুবে মারা গেছে মর্মে তাকে দাফন করা হয়। মৃত্যুর চারদিন পর শিশুর পিতা শহিদুল ইসলাম জানতে পারেন তার শিশু কন্যাকে মারা হয়েছে।

শিশুটির বাবা শহিদুল ইসলাম জানান, আমার প্রতিবেশী বাকী হোসেনের মেয়ে আখি খাতুন (১২) এবং অভিযুক্ত সোনালী খাতুন (১৪) দুজন ঘনিষ্ঠ বান্ধবী। যার সুবাদে আখিকে সোনালী বলে আমি ফাতেমাকে মেরেছি। এমন কথা থেকেই আমরা জানতে পারি আমাদের মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। এঘটনায় এলাকায় জানাজানি হলে এলাকাবাসী ফুঁসে উঠে। পরিবারটি বৃহস্পতিবার বিকেলে তাদের শিশু কন্যাকে হত্যা করা হয়েছে মর্মে একটি সংবাদ সম্মেলনও করেন। সংবাদ সম্মেলনে অভিযুক্তের বিচার দাবি করেন। পরে অভিযুক্ত কিশোরী সোনালীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে মেয়েটি দুর্ঘটনা বসত শিশুটি মারা গেছে তার কাছ থেকে এমনটা স্বীকার করেছে বলে জানা যায়। এঘটনায় শিশুটির মা মিনারা বেগম বাদী হয়ে তিনজনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাহারুল ইসলাম বলেন, এ ব্যাপারে একটি হত্যা মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত সোনালীকে আটক করে নাটোর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে নাটোর আদালতে সোনালী জবানবন্দি দিয়েছে। ‌ সেখানে সে হত্যার দায় স্বীকার করেছে। সোনালীকে রাজশাহী সেফ হোমে পাঠানো হয়েছে।

(এডিকে/এসপি/জুলাই ১০, ২০২০)