কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : পূর্ণিমার জোর প্রভাবে সাগর ও নদীতে জেয়ারের পানির উচ্চতা ২/৩ ফুট বৃদ্ধি পাওয়ায় উপকূলীয় উপজেলা কলাপাড়ার অন্তত ৩০ টি গ্রাম বুধবার সকালের জলোচ্ছাসে প্লাবিত হয়।

এতে পানি বন্দী হয়ে পড়ে অন্তত ৩৫ হাজার মানুষ। গত তিনদিন ধরে এভাবে পানিতে প্লাবিত হচ্ছে কলাপাড়ার নিম্মাঞ্চলের মানুষ। বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে ও বাঁধ টপকে পানি প্রবেশ করায় ইতিমধ্যে অন্তত পাঁচ হাজার হেক্টর জমির রোপা বীজ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এবার কলাপাড়ায় আমন উৎপাদন কমে যাবে। এছাড়া প্রতিটি জলোচ্ছাসেই এভাবে পানিতে প্লাবিত হওয়ার কারনে অন্তত এক হাজার পরিবার উপজেলার বিভিন্ন বেড়িবাঁধের উপর আশ্রয় নিয়েছে। এসব পরিবার বর্তমানে সীমাহীন দূর্ভোগ পোহালেও তাদের সহায়তায় কেউ এগিয়ে আসছে না। আন্ধারমানিক নদীর জোয়ারের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাওয়ায় বুধবার সকালে কুয়াকাটাগামী নীলগঞ্জ ফেরির গ্যাংওয়েও বেইলী ব্রিজ এভাবে পানিতে তলিয়ে থাকায় সীমাহীন দূর্ভোগ পোহাতে হয় কুয়াকাটায় ভ্রমনে আসা পর্যটকসহ যাত্রীদের। এতে কুয়াকাটার সাথে চার ঘন্টা সরাসরি বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এদিকে মঙ্গলবার দিবাগত রাত তিনটায় কলাপাড়ার গোটা উপকূলীয় এলাকার উপর দিয়ে প্রচন্ড ঝড় বয়ে বয়ে যায়। এতে বিপাকে পড়ে লালুয়ার পানিবন্দী ১০ টি গ্রামের মানুষ। রাতের জোয়ারে নিরাপদে বাঁধে আশ্রয় নেয়া পরিবারগুলো পড়ে সবচেয়ে বিপাকে। ঝড় শুরুর পর গোটা এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে বলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মীর তারিকুজ্জামান তারা জানান।
(এমকেআর/এএস/আগস্ট ১৩, ২০১৪)