আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে বিশ্বজুড়ে তিন হাজারেরও বেশি স্বাস্থ্যকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। পর্যাপ্ত সুরক্ষা সামগ্রীর অভাবই এসব মৃত্যুর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি দায়ী।

মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সোমবার (১৩ জুলাই) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংস্থা অ্যামনেস্টি বলছে, করোনাভাইরাসে ৫৪৫ জন স্বাস্থ্যকর্মীর মৃত্যু হয়েছে রাশিয়ায়। যুক্তরাজ্যে মারা গেছেন ৫৪০ জন স্বাস্থ্যকর্মী, এর মধ্যে ২৬২ জন স্বেচ্ছাসেবীও রয়েছেন। আর করোনায় সবচেয়ে বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যু হয়েছে ৫০৭ জন স্বাস্থ্যকর্মীর।

যুক্তরাষ্ট্রের পর করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুতে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ব্রাজিলে মারা গেছেন ৩৫১ স্বাস্থ্যকর্মী। আর মেক্সিকো এবং লাতিন আমেরিকার অন্যান্য দেশে মৃত্যু হয়েছে ২৪৮ জন স্বাস্থ্যকর্মীর।

অরক্ষিত কর্মক্ষেত্র, কম বেতন এবং একটানা দীর্ঘসময় স্বাস্থ্যকর্মীদের দিয়ে কাজ করানোর বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে অ্যামনেস্টির পক্ষ থেকে বলা হয়, মহামারিটি ছড়িয়ে পড়ার পরে চিকিৎসাকর্মীরা প্রায়ই কঠিন পরিস্থিতিতে দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করার সম্মুখ লড়াইয়ের অভিজ্ঞতা সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন। বিভিন্ন দেশ তাদের চিকিৎসাকর্মীদের পর্যাপ্ত ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম- ফেস মাস্ক, গাউন, গ্লাভস এবং গগলস সরবরাহ করতে ব্যর্থ হওয়ায় এ মৃত্যুর হার বেড়েছে।

প্রায় ৬৩টি দেশেই স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রীর (পিপিই) ঘাটতি রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় অ্যামনেস্টির প্রতিবেদনে।

এ মানবাধিকার সংস্থা বলছে, অনেক দেশের স্বাস্থ্যকর্মী তাদের সুরক্ষা সরঞ্জামসহ অন্যান্য সুবিধার জন্য প্রতিবাদ-বিক্ষোভ করায় তাদের গ্রেফতার, আটক রাখা, হুমকি, বরখাস্তসহ বিভিন্ন নিপীড়ন চালানো হয়েছে।

এ বিষয়ে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের গবেষক এবং অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার বিষয়ক উপদেষ্টা সানহিতা অ্যাম্বাস্ট বলেন, বিশ্বজুড়ে এখনো করোনা মহামারি বর্তমান থাকায় আমরা সরকারপ্রধানদের স্বাস্থ্যকর্মীদের জীবনরক্ষার প্রতি গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। আল জাজিরা।

(ওএস/এসপি/জুলাই ১৪, ২০২০)