রণেশ মৈত্র


শর্ত একটাই। গণ্যমান্য সরকারি দলীয় নেতাদের ঘনিষ্ঠতা অর্জন। যত ধাপই কোটিপতি হওয়ার জন্য থাকুক না কেন এই প্রথম ধাপটি পার হওয়াই সর্বাপেক্ষা কঠিন। কিন্তু অসাধারণ যোগ্যতার বলে অনেকেই এই ধাপটি পার হয়েছেন। ফলে অচিরেই হয়ে গিয়েছেন কোটিপতি। কোন পথে? অবশ্যই অসৎ এবং বে-আইনী পথে। ফলে আজ বাংলাদেশে কোটিপতির সংখ্যা গোটা পৃথিবীর মধ্যে প্রায় সর্বাধিক।

দেশের সংবাদপত্রগুলি করোনা সংক্রান্ত খবর ছাড়া আর যত খবরই দিক তাদের ১৬ অথবা ২০ পৃষ্ঠা জুড়ে প্রায়শ:ই তার সিংহ ভাগ জুড়ে থাকে নানা বৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ অসংখ্য দুর্নীতির খবর। আবার বিষয়টি গোপন রাখার অসীম যোগ্যতা যাঁরা ধারণ করেন, সংখ্যায় তাঁরাই সর্বাধিক, তাঁরা নির্বিঘ্নে থেকে যান লোকচক্ষুর নিরাপদ অন্তরালে।

ইদানীং অবাক বিস্ময়ে দেশবাসী লক্ষ্য করছেন, লাখে লাখে মানুষের জীবন হরণকারী করোনা নামক অজানা রোগের ব্যাপারেই ভূয়ো ‘নেগেটিভ’ ‘পজিটিভ’ রিপোর্ট তৈরী করে প্রতিটি রিপোর্ট হাজার হাজার টাকায় বিক্রী করে জনৈক শাহেদ আজ বহু কোটি টাকার মালিক। সেই শাহেদ, এখন জানতে পারছি, রিজেস্ট হাসপাতাল নামক লাইসেন্সবিহীন এক তথাকথিত হাসপাতালের মালিক।

বিস্ময়ের অন্ত যাকে না যখন আরও জানা যায় যে ঐ রিজেস্ট হাসপাতালের সাথে সরকার চুক্তি করেছেন-করোনা বিচিৎসা সেখানে বিনামূল্যে হবে, করোনা টেষ্ট এর বাবদেও কোন প্রকার ফি কোন রোগীর কাছ থেকে আদায় করতে পারবে না।

এই চুক্তি স্বাক্ষরের পর সরকার রিজেস্ট হাসপাতালকে দুই কোটি টাকাও দেন। এত কিছু হলো কিন্তু হাসপাতালটির যে কোন লাইসেন্স নাই। এ এক আজব কাওকারখানা। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের ছবিও প্রকাশ পেয়েছে। তাতে দেখা যায়, স্বয়ং স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্যসচিব প্রমুখ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তাবৃন্দ সেখানে উপস্থিত।

আজও জানা গেল, সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির একজন সদস্য। সে কারণেই কি সাহেদের সম্মানে লাইসেন্স না থাকা সত্বেও সরকার চুক্তি করলো তার হাসপাতালের সাথে?
রিজেস্ট হাসপাতাল ও তার মীরপুর শাখা র‌্যাব সিলগালা করেছে। যখন এই ঘটনা ঘটে তখনই সাহেদ খোদ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে টেলিফোন করার মত ধৃষ্টতা দেখাতে পারলো ঐ একই কারণে কী? ঐ কারণেই যাদের বিরুদ্ধে অর্থাৎ বিজেস্ট হাসপাতালেরর বেশ কিছু কর্মকর্তা ও মালিক সাহেদের (তিনিই ঐ হাসপাতালের চেয়ারম্যান) বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলেও মাত্র গুটিকয়েক কর্মকর্তা মাত্র তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেফতার হলেও চেয়ারম্যান সাহেদ ও আরও অনেকে আজও গ্রেফতার হন নি। অথচ হাসপাতাল সিলগালা করার পর, এই নিবন্ধ লেখার সময় অবধি, পাঁচদিন অতিক্রান্ত। তবে কি সাহেদ কোন বড় সড় কেউকেটার নিরাপদ আশ্রয়ে অবস্থান করছেন? না কি সকলের চোখকে ধূলা দিয়ে তিনি সাথে সাথেই দেশত্যাগ করেছেন-তাঁর দেশত্যাগ নিষিদ্ধ করার আগেই?

সংবাদপত্র তো মাসের পর মাস, বছরের পর বছর ধরে একই ঘটনা নিয়ে (নতুন কিছু না ঘটলে) প্রতিদিনই নতুনের নামে পুরাতন রিপোর্ট ছাপতে পারে না। এক দিন রিপোর্ট ছাপা বন্ধ করতেই হয়। সেই সময় পার করার অপেক্ষায়ই কি শাহেদ আত্মগোপনে?

আমরা প্রায়শ:ই শুনে থাকি “অপরাধীদের কোন দল নেই।” কথাটা কি আদৌ ঠিক? সাদা চোখেই দেখা যায়, দলীয় সংযোগ ছাড়া দেশে কোন অপরাধী নেই। যার ফলে রাজনীতি ও রাজনৈতিক দল আজ আর জন সমর্থিত নয়। জননন্দিত নয়ই, বরং জননিন্দিত বললেও অত্যক্তি হবে না। আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জামায়াত এরা যে দল যখনই ক্ষমতায় এসেছে, তখনই তাদের লোকজনকে নানা দুর্নীতিতে লিপ্ত হতে দেখা গেছে।

বিএনপির “হাওয়া ভবন” তো হয়ে উঠেছিল কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির কেন্দ্রস্থল বা উৎস স্থল। দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে গোটা পৃথিবীর মধ্যে কয়েক দফায় যা তৎকালীন নানা আন্তর্জাতিক মাধ্যমে ফলাও করে ছাপা হতে দেখা গেছে। খোদ প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিরাও বহু দুর্নীতির সাথে জড়িত ছিলেন এবং কাল পরিক্রমায় পারও পেয়ে গেছে।

আলহজ্ব হোসেন মুহম্মদ এরশাদের কথা যত কম বলা যায় ততই মঙ্গল। দুর্নীতির দায়ে দায়েরকৃত অসংখ্য মামলার মধ্যে নিষ্পত্তি হওয়া একটি মামলায় তাঁকে পূরো মেয়াদে সাজাও খাটতে হয়েছিল। বাদ বাকী মামলা আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দিব্যি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। যেন এরশাদও গণতন্ত্রের মানসপুত্র। যদিও তাঁর আমলে চোখ বেঁধে ক্যান্টনমেন্টে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল শেখ হাসিনা সহ নানা বিরোধী দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে। এ ছাড়াও গণতন্ত্রের দাবীতে আন্দোলনরত হাজার হাজার কর্মী-নেতাকে বেমালুম জেল খাটাতে ভালমত ওস্তাদীও দেখিয়েছেন।

আর্থিক দুর্নীতি ছাড়াও বে-আইনীভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকারী স্বৈরাচারী এরশাদ অসংখ্য নারী কেলেংকারী নায়ক হিসেবেও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সমূহে ব্যাপক খ্যাতি(?) অর্জন করতেও সমর্থ হয়েছিলেন রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ক্ষমতার আসনে অধিষ্ঠিত থাকাকালে। তাঁর প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল জাতীয়তা পার্টির অনেক নেতাই আর্থিক দুর্নীতির সাথে নিরাপদে জড়িত ছিলেন।

এবারে জামায়াতে ইসলামী ধর্মের নামে লুটপাট, অগ্নি সংযোগ, নারী ধর্ষণ-এমন কোন হীন অপরাধ নাই যার সাথে তাদের শীর্ষস্থানীয় নেতারা জড়িত ছিলেন না। ব্যাপকভাবে গণহত্যার দায়ে এই দলটির র্শীষ স্থানীয় নেতারা ইতোমধ্যেই ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলেছেন। আরও বহু নাম তালিকায় থাকার কথা।

কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ ও দেশের অসংখ্য গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ঐতিহ্যবাহী আওয়ামী লীগ এমন পর্য্যায়ে চলে যাবে তা কেউই ভাবতে পারে নি।

শুধু তো সাহেদ নয়। গত বছর বিস্ময়ের হতবাক হয়ে জাতি দেখেছে যুবলীগ নেতা সম্রাট, যুব মহিলা লীগ নেত্রী পাপিয়া, কৃষক লীগ নেতা সহ বেশ কয়েকজনকে মারাত্মক দুর্নীতির সাথে জড়িত থাকার কেচ্ছা-কাহিনী। তারা আজ কারাগারে বিচারধীন। কিন্তু মামলার কোন অগ্রগতি নেই। ফলে পত্র-পত্রিকার পৃষ্ঠায় অনেক দিন ধরে ঐ সময়ে দেখা গেলেও বহুদিন আর দেখা যাচ্ছে না।

জি.কে. শামীম? তিনিও দুর্নীতির দায়ে সংবাদপত্রগুলির শিরোনাম হয়ে দেশের মানুষের সামনে আবির্ভূত হয়েছিলেন বেশ কয়েকদিন ধরে তাঁর সম্পর্কেও নানা তথ্য পত্রিকাগুলিরর পৃষ্ঠায় স্থান পাচ্ছিল। কিন্তু তা গতিবেগ হারিয়েছে যথারীতি-যেমন হারিয়েছে সম্রাট পাপিয়া এবং অন্যান্যরা। সবারই কিন্তু দলীয় পরিচয় আছে বা ছিল-যদিও ঘটনাসমূহ জানাজানি হওয়ার পর প্রথামত তারা দল থেকে বহিস্কৃত হয়েছিলেন। কিন্তু গোপনে নেতাদের সাথে আজও সম্পর্ক রেখে চলছেন কিনা-বাইরে থাকা তাদের ঘনিষ্ঠরা এখনও ঐ সকল কাজে লিপ্ত আছেন কি না তা জানার কোন উপায় নেই।

সপ্তাহ দুই আগে আবার এক এম.পি’র নাম সকল সংবাদপত্রের শিরোনাম হয়েছিল। কয়েকদিন ধরে এই করিতকর্মা মাননীয় সাংসদ এর কুয়েতে অবস্থান, সেখানে বিপুল সংখ্যক মানব পাচার ও অন্যান্য গুরুতর অপরাধে দুবাই এর কারাগারে আটক আছে। তিনি এতটাই করিতকর্মা যে কুয়েত সরকারের বহু দায়িত্বশীল কর্মকর্তাকে বিপুল অংকের ঘুস দিয়ে নিজের ও ঐ অবৈধ ব্যবসায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছেন।

এই এম.পি’র নাম পাপলু। কয়েকদিন হলো জানা গেলো, তিনি কয়েতের নাগরিক নন। তবে সে দেশের “ফরেইনার্স রেসিডেন্টশিপ” আইনে দীর্ঘকাল যাবত সেখানে থেকে তাঁর ব্যবসায় চালিয়ে যাচ্ছেন। কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে নিশ্চিত করলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে দাঁড়িয়ে “পাপলু কুয়েতের নাগরিক হলে তার সংসদ সদস্যপদ কেড়ে নেওয়া হবে” বলে ঘোষণা দেওয়ার পর। কিন্তু একজন সাংসদ দীর্ঘদিন যাবত বিদেশের মাটিতে বসে মানবপাচার, টাকা পাচার সহ মারাত্মক সব অপরাধ করেও, অর্থাৎ গুরুতর ধরণের অপরাধী হওয়া সত্বেও বাংলাদেশে তার সদস্যপদ অক্ষুন্ন থাকবে কেন? এমন আইন থাকলে তা দেশের ভাবমূর্তি রক্ষার স্বার্থে অবিলম্বে বাতিল করা উচিত।

পাপলু অবশ্য যেমন তেমন কেউ নন। তিনি কোন দলের সদস্য নন-করতে জাতীয় পার্টি। মনোনয়ন পত্র দাখিলের পর জানা গেল তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী। অত:পর মস্ত চমক। আওয়ামী লীগ মনোনীত ঐ প্রার্থী কোন দ্বিধা না করেই তাঁর প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে আওয়ামী লীগের সকল নেতা-কর্মী পাপুলের পক্ষে মাঠে নেমে জিতিয়ে আনেন পাপুলকে। মোটা দাগে অর্থের বিনিময়েই নাকি এমনটি সম্ভব হয়েছিল। আজ তিনি বিদেশের জেলে তাও মানব পাচার, অর্থ পাচার প্রভৃতি গুরুতর অভিযোগে। বিদেশ মন্ত্রী তাঁর সম্পর্কে অতিশয় নরম। কারণ অবশ্য জানা নেই।

কথা বলছিলাম সাহেদের দুর্নীতি প্রসঙ্গ নিয়ে। আবার খবর এলো, একই ধরণের অপরাধে, অর্থাৎ পরীক্ষা না করেই করোনার রেজাল্ট নিয়ে প্রতারণা ও অবৈধ কর্মকা-ের দায়ে জোবেদা খাতুন সর্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা বা জে কে জি হেলথ কেয়ার নামের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে চার্জশীট দিতে যাচ্ছে পুলিশ। রাজধানী ঢাকা ও ঢাকার বাইরের বিভিন্ন এলাকায় বুথ বসিয়ে পরীক্ষা না করেই রিপোর্ট দেওয়ার নামে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আরিফ চৌধুরী সহ ৬ জনকে গ্রেফতারের পর রিমা-ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তবে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান এখনও রয়ে গেছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে কোন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয় নি, জানা গেল দৈনিক জনকণ্ঠে ১১ জুলাই প্রকাশিত এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনের মাধ্যমে। পত্রিকাটি আরও জানিয়েছে-

স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক শ্রেণীর কর্মকর্তার যোগসাজশে করোনা পরীক্ষার অনুমতি পায় জে কে জি। রাজধানী ঢাকা ও ঢাকার বাইরের পৃথক ছয় স্থানে ৪৪টি বুথ স্থাপন করে প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৫০০ জনের নমুনা সংগ্রহ করতো প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু নমুনার কোন পরীক্ষা ছাড়াই একদিন পরেই মনগড়া রিপোর্ট দিয়ে দিন ৫,০০০ থেকে ১০,০০০ টাকার বিনিময়ে। করোনা উপসর্গে ভোগা মানুষদেরকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে এভাবে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে জোবেদা খাতুন। শর্ত ছিল সরকার নির্ধারিত লেবরেটরিতে নমুনা পাঠাতে হবে। কিন্তু তা করে নি প্রতিষ্ঠানটি। নিজস্ব কর্মীবাহিনী ছাড়াও প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তুলেছিল দালাল বাহিনী। এই প্রতিষ্ঠানটি এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিয়ে রয়েছে আরও বহু কাহিনী।

জানবা গেল, পাবনা জেলার পাকশী রূপপুরে অনুরূপ একটি জাল করোনা রিপোর্টে দিচ্ছিল একটি প্রতিষ্ঠান বিগত কয়েকটি মাস যাবত। অর্থাৎ এখন বুঝাই দূরুহ কোথায় প্রকৃতই করোনা স্যাম্পল নেয় এবং সঠিক রিপোর্ট সরবরাহ করে।

এত কিছুর পরিণতি?

মাত্র কয়েকদিন আগে প্রায় দেড় শত বাংলাদেশী “করোনা নেগেটিভ” রিপোর্ট নিয়ে ইতালী গেলে রোম বিমানবন্দরে নিয়ম মাফিক তাদের করোনা টেষ্ট করলে জানা গেল, মাত্র কয়েকটি ছাড়া বাদ-বাদী সবারই রিপোর্ট পজিটিভ। তাই তারা তৎক্ষণাৎ ঐ বিমানেই সকলকে ঢাকা ফেরত পাঠিয়ে দেন। এখানে আসার পর তাদের স্থান হয়েছে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে ২১ দিনের জন্য।

কিন্তু দেশের ভাবমূর্তি? রিজেস্ট হাসপাতাল, জি কে জি, সাংসদ পাপুল সবাই মিলে দেশের ভাবমূর্তির যে ক্ষতি করে চলেছে তা সহসা পূরণ হবার নয়। আরও যে এমন বা ততোধিক ভয়ংকর কত প্রতিষ্ঠান যে বৈধ/অবৈধভাবে কত দুর্নীতি করে চলেছে তা ভাবতেও শিউরে উঠবে। এর ফলে মানুষের জীবনও যাচ্ছে অসংখ্য। বিনিময়ে অনেকেই কোটিপতি বনে যাচ্ছেন। যথেষ্ট নিরাপদে।

লেখক : সভাপতিমন্ডলীর সদস্য, ঐক্য ন্যাপ।