নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি : ৫ লক্ষ টাকা যৌতুকের দাবীতে নির্যাতনের পর বাড়ী থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে তাসলিমা আক্তার নামে এক গৃহবধূকে। ছয় মাস আগে বিয়ে হলেও শুধুমাত্র  যৌতুকের জন্য স্বামীর বাড়ীতে যেতে পারছিল না ওই গৃহবধূ। টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার দপ্তিয়রের এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ বুধবার থানায় অভিযোগ করেন।

অভিযোগে জানা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারী মাসে উপজেলার দপ্তিয়র ইউনিয়নের জালাই গ্রামের তৈজুদ্দিনের মেয়ে তাসলিমা আক্তারের বিয়ে হয় পার্শ¦বর্তী পাঁচআড়া গ্রামের সিরাজুল মোল্লার ছেলে মো. শহিদুল ইসলামের সাথে। বিয়ের পর গৃহবধূ স্বামীর বাড়ীতে যেতে চাইলে বিভিন্ন তালবাহানায় স্বামী তাকে নিয়ে যেতে অপরাগতা প্রকাশ করে।

গৃহবধূ তাসলিমা তার শ্বশুর বাড়ী যেতে স্বামী শহিদুলকে চাপ দিলে তখন সে ৫ লক্ষ টাকা দাবী করে। যৌতুকের এত বড় অংকের টাকা তাসলিমার পরিবার দিতে না পারায় সে দীর্ঘদিনেও তার স্বামীর বাড়ী যেতে পারছিলো না। এরই মাঝে তাসলিমা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। পরে বাধ্য হয়ে গত সোমবার বিকেলে তাসলিমা একাই তার স্বামীর বাড়িতে চলে যায়। সেখানে যাওয়ার পর তাসলিমার স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ী মিলে তাকে অমানুষিক নির্যাতন করা হয়।

পরে নির্যাতিতা গৃহবধূ স্বামীর পরিবারের নির্যাতন সইতে না পেরে পার্শ্ববর্তী শাহজাহানের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। পরের দিন আবার স্বামীর বাড়িতে গেলে তাকে পেট্রোল দিয়ে পুড়িয়ে মারার হুমকী দেন স্বামীর পরিবারের লোকজন। পরে তাসলিমার পরিবারের লোকজন তাসলিমাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বুধবার সকালে নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।

এ ব্যাপারে গৃহবধূর স্বামী শহীদুলের সাথে সেল ফোনে যোগাযোগ করলে সে যৌতুকের বিষয়টি অস্বীকার করলেও তার স্ত্রীকে মারধরের কথা স্বীকার করে ফোন কেটে দেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলম চাঁদ বলেন, তাসলিমা নামে এক গৃহবধূর একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

(আরএস/এসপি/জুলাই ১৫, ২০২০)