রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে সীমা আক্তার সুমির নামের এক নববধুকে হত্যাকান্ডের আড়াই মাস পর খুনের রহস্য উদঘাটন করেছে থানার নবাগত ওসি আবদুল জলিল। আত্মহত্যা বলে প্রচার করলেও পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে সুমিকে হত্যা করেছে তার স্বামী রাশেদ (২৫)। 

শনিবার সকালে রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল জলিল মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনের কথা নিশ্চিত করে বলেন, শুক্রবার দুপুরে ঘাতক স্বামী রাশেদ স্ত্রী সুমিকে হত্যার কথা শিকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

ওসি জলিল জানান, গত ৪ মে এ ঘটনায় রায়পুর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়। গত বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) সুমির মৃতদেহের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পুলিশের হাতে আসে। এর রাতেই পুলিশ চরমোহনা ইউনিয়নের দক্ষিন রায়পুর গ্রাম থেকে পাষন্ড স্বামী রাশেদকে গ্রেফতার করে।

এরপর পুলিশের কাছে দেওয়া স্বীকারোক্তিতে রাশেদ জানিয়েছে, সুমি বায়না ধরেছে বাপের বাড়িতে যেতে। কিন্তু লকডাউনের মধ্যে হাতে টাকা না থাকায় তাঁকে নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে যেতে রাজি হয়নি রাশেদ। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায় রাশেদ সুমিকে গলাটিপে হত্যা করে। ঘটনাটি প্রায় আড়াই মাস আগের হলেও এর রহস্য উদঘাটন হয়েছে (১৭ জুলাই) শুক্রবারে।

প্রসঙ্গত, গত ছয় মাস আগে রায়পুর উপজেলার চর মোহনা ইউনিয়নের দক্ষিণ রায়পুর গ্রামের মো. আলী হায়দারের পুত্র মো. রাশেদের (২৪) সাথে পারিবারিকভাবে একই উপজেলার চরবংশী গ্রামের খোকন ছৈয়ালের মেয়ে সীমা আক্তার সুমির (১৯) বিয়ে হয়। গত ৪ মে রাত সোয়া একটার দিকে স্বামীর বাড়িতে সুমির রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।

স্বামী রাশেদ এটিকে স্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবে দাবি করলেও সুমির মাতা ছালেহা বেগম রায়পুর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করেন। পরে সদর হাসাপাতালে তার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে পারিবারিকভাবে দাফন করা হয়। পরে ময়নাতদন্ত রিপোর্টে এটি হত্যা বলে প্রতিদেন আসে রায়পুর থানায়।

(এস/এসপি/জুলাই ১৮, ২০২০)