স্টাফ রিপোর্টার, রংপুর : শনিবার মধ্যরাত থেকে লাগাতার ভারি বর্ষণ পাহাড়ি ঢলে রংপুরের তিস্তা নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার গঙ্গাচড়া ও পীরগাছার বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। এতে করে ওইসব এলাকার কয়েক হাজার মানুষ এখন পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে। রবিবার বিকাল পর্যন্ত যে পরিমাণ বৃষ্টি ঝরছিল তা অব্যাহত থাকলে এ অঞ্চলে আবার নতুন করে বন্যা দেখা দিতে পারে। 

ইতোমধ্যেই পানির নিচে তলিয়ে গেছে বিভিন্নজাতের সবজিসহ বহু ফসলি জমি। বিভিন্ন পুকুর ও মৎস্য খামারের মাছ ভেসে যাওয়ারও খবর জানা গেছে। শুধু নদীতীরবর্তী এলাকাই নয়, টানা এই বর্ষণের কারণে নগরীর অধিকাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। বৃষ্টির কারণে ব্যবসায়ী ও খেঁটে খাওয়া মানুষ ঘর ছেড়ে বের হতে না পারায় এক ধরণের স্থবিরতা নেমে আসে নগরবাসীর মাঝে।

শনিবার মধ্যরাত থেকে রংপুরের বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয় টানা ভারি বর্ষণ। বর্ষণের পাশাপাশি পাহাড়ি ঢলে নদীর পানি বৃদ্ধি পায়। ফলে নদীতীরবর্তী রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার কোলকোন্দ, মর্ণেয়া, আলমবিদিতর, নোহালি এবং পীরগাছা উপজেলার কান্দি, তাম্বুলপুরসহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের কয়েক হাজার পরিবারের মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে। লাগাতার বর্ষণের কারণে শুধু নদীতীরের ওইসব মানুষজনই নয়, রবিবার ঘর ছেড়ে বের হতে পারেনি শহরাঞ্চলের মানুষজনও। সারাদিন নগরীর অধিকাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। সরকারী বেসরকারী অফিস আদালত খোলা থাকলেও মানুষজনের উপস্থিতি ছিল না বললেই চলে। এতে এক ধরণের স্থবিরতা নেমে আসে নগরবাসীর জীবনে।

রংপুর আবহাওয়া দফতর জানায়, শনিবার মধ্যরাত থেকে রবিবার দুপুর পর্যন্ত সময়ে ১৮৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে তারা।

(এমএস/এসপি/জুলাই ১৯, ২০২০)