স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া পাঁচ ব্যক্তির মধ্যে চার ব্যক্তির প্রত্যেক পরিবারকে ৩০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্টের আদেশ ১৬ আগস্ট পর্যন্ত স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বারজজ আদালত।

হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত চেয়ে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের করা আপিল শুনানি নিয়ে বিচারপতি নুরুজ্জামানের চেম্বারজজ আদালত মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।

আদালতে হাসপাতালের পক্ষে ব্যারিস্টার রুকন উদ্দিন মাহমুদ ও মোস্তাফিজুর রহমান শুনানি করেন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এএম আমিন উদ্দিন, ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজিম, ব্যারিস্টার মুনতাসির উদ্দিন আহমেদ, ব্যারিস্টার অনিক আর হক নিয়াজ মোহাম্মদ মাহবুব।

এর আগে সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে আবেদনটি মঙ্গলবার (২১ জুলাই) শুনানির জন্য আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় শুনানির জন্য ছিল।

গত ১৪ জুলাই ইউনাইটেড হাসপাতালে আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া পাঁচ ব্যক্তির মধ্যে চার ব্যক্তির প্রত্যেক পরিবারকে ৩০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। ১৫ দিনের মধ্যে এই টাকা পরিশোধ করতে বলা হয়। হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

একই ঘটনায় মারা যাওয়া মনির হোসেনের পরিবার ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমঝোতা করায় তার ক্ষতিপূরণ বিষয়ে কোনো আদেশ দেননি আদালত।

আদালতে ওইদিন রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার মুনতাসির উদ্দিন আহমেদ, ব্যারিস্টার অনিক আর হক ও নিয়াজ মোহাম্মদ মাহবুব।

গত ২৯ জুন আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া পাঁচ ব্যক্তির আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে সমঝোতা করার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। ১২ জুলাইয়ের মধ্যে তাদেরকে সমঝোতায় আসতে বলা হয়। তবে নিহত সব পরিবারের সঙ্গে সমঝোতা না করায় প্রতি পরিবারকে ৩০ লাখ করে মোট ১ কোটি ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের ওই আদেশ দেন আদালত।

এর আগে গত ১ জুন রাজধানীর গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ইউনিটে আগুনে পাঁচজনের মৃত্যুর ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রেদোয়ান আহমেদ রানজীব, ব্যারিস্টার হামিদুল মিসবাহ ও নিয়াজ মাহমুদ জনস্বার্থে পৃথক দু’টি রিট দায়ের করেন।

গত ২৭ মে রাতে রাজধানীর গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ইউনিটে এসি বিস্ফোরণের পর অগ্নিকাণ্ডে পাঁচজনের মৃত্যু হয়। মারা যাওয়া রোগীরা হলেন, রিয়াজুল আলম (৪৫), খোদেজা বেগম (৭০), ভেরুন এন্থনি পল (৭৪), মো. মনির হোসেন (৭৫) ও মো. মাহাবুব (৫০)।

(ওএস/এসপি/জুলাই ২১, ২০২০)