স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশি জাল নোট ও নোট তৈরির সরঞ্জামাদিসহ গ্রেফতার তিনজনকে একদিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

তারা হলেন-আলম হোসেন (২৮), সাইফুল ইসলাম ওরফে লামু (৩২) ও মো. রুবেল (২৮)। বুধবার (২২ জুলাই) ঢাকা মহানগর হাকিম আদালত সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

সূত্র জানায়, মঙ্গলবার (২১ জুলাই) একদিনের রিমান্ড শেষে তাদের ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম আশেক ইমাম তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে রবিবার (১৯ জুলাই) তিনজনকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। জাল টাকা উদ্ধারের ঘটনায় করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষ ঢাকা মহানগর হাকিম মিল্লাত হোসেন তাদের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

শনিবার (১৮ জুলাই) রাজধানীর বংশাল ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের লালবাগ বিভাগ। এ সময় তাদের কাছ থেকে বাংলাদেশি ১০০০ ও ৫০০ টাকার নোটের ৩৫ লাখ জাল টাকা ও জাল টাকা তৈরিতে ব্যবহৃত একটি ল্যাপটপ, একটি লেমিনেটিং মেশিন, দুটি কালার প্রিন্টারসহ বিভিন্ন উপকরণ জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে বংশাল থানায় মামলা করা হয়।

গোয়েন্দা পুলিশের লালবাগ বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মধুসূদন দাস বলেন, বংশাল থানার শহীদ নজরুল ইসলাম সরণির সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের সামনে জাল টাকাসহ কতিপয় ব্যক্তি অবস্থান করছে মর্মে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে মো. আলম হোসেনকে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে তিন লাখ বাংলাদেশি জাল টাকা জব্দ করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে আলম স্বীকার করেন, তার অপর দুই সহযোগী দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার কালিগঞ্জ পূর্বপাড়ার শহীদ বেলায়েত রোডের একটি বাসায় অবস্থান করছেন এবং তারা সেখানে বাংলাদেশি জাল টাকা তৈরি করেন। এমন তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেফতারকৃত আলমকে নিয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের ওই বাসায় গিয়ে দলনেতা সাইফুল ইসলাম ওরফে লামু ও রুবেলকে আটক করা হয়। এ সময় বাসা থেকে ৩২ লাখ বাংলাদেশি জাল টাকা ও জাল টাকা তৈরির সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়।

(ওএস/এসপি/জুলাই ২২, ২০২০)