প্রান্ত সাহা : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের JU Solidarity এবং সামাজিক সংগঠন Inspire Care & Cultivate Human AID-ICCHA(ইচ্ছা) এর উদ্যোগে ২৯ জুলাই(বুধবার) বিকাল ৩ টায় গাইবান্ধার ফুলছড়িতে বন্যার্ত ৫০টি পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়।

'JU Solidarity : Jahangirnagar University Ex-students and their friends unity' এর আকবর উদ্দিন আহমেদ মিলন(৯ম ব্যাচ, সরকার ও রাজনীতি বিভাগ) বলেন, 'মার্চ এর মাঝামাঝি থেকে যখন বাধ্যতামূলক অবসর বা লক ডাউন এর শৃংখল আমাদের সবার উপর এসে গেল, তখন কারো চিন্তায় এলো এখন থেকেই যদি কিছু সিনিয়র ও জুনিয়রদের নিয়ে একটা ‘ম্যাসেঞ্জার গ্রুপ’ তৈরি করে তহবিল শুরু করা যায়, তবে মন্দ কি! এরকমই একটা তাগিদ থেকে ২৩ মার্চ ২০২০ তারিখে ম্যাসেঞ্জার চ্যাট গ্রুপ 'JU Solidarity'র জন্ম তাৎক্ষণিকভাবে। এই তহবিলে মূলত জমা হয়েছে বিকাশ, রকেট, নগদ এর মাধ্যমে। 'JU Solidarity'তে কোন কমিটি জাতীয় কিছুই নেই, সেহেতু কারো নাম উল্লেখ করার প্রয়োজন অনুভূত হচ্ছে না। তবে বড়দের অনুমতি সাপেক্ষে আমাদের সম্পর্কে জানতে আমাকে ফোন করতে পারেন। মোবাইলঃ ০১৭১৫-০২২১৩৩। সবাইকে ধন্যবাদ। জয়তু জাবিয়ান বন্ধন। জয়তু মানবতা।'

জাবির সামাজিক সংগঠন Inspire Care & Cultivate Human AID-ICCHA(ইচ্ছা) এর সভাপতি নুরুজ্জামান শুভ(ইতিহাস-৪৫) বলেন, 'করোনার এই মহামারী বন্যা যেন মরার উপর খাঁড়ার ঘা। সামনে ইদ অথচ দেশের বানভাসী মানুষেরা পানিবন্দী, গৃহহীন হয়ে অসহায় জীবন যাপন করছেন। তাদের দুঃখ লাঘবে আমাদের ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা। জাবিয়ান, নন জাবিয়ান সেসকল ভাই আপু বন্যার্তদের জন্য ফান্ড দিয়েছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।' এছাড়াও ইচ্ছা'র সহ সভাপতি এস এন সোহেল রানা(ইতিহাস-৪৫, জাবি) বলেন, 'এই করোনার সময় বন্যায় মানুষজন অনেক কষ্টে দিন অতিবাহিত করছে। আমরা দেশের বন্যার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি। জাবিয়ান বড় ভাই, আপু ও অন্যান্য যারা আমাদের ডাকে সাড়া দিয়ে বিভিন্নভাবে সাহায্য করেছেন সকলকে আমার অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।'

গাইবান্ধার টিম লিডার এবং ইচ্ছা'র যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক সিনথি(বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউট, ৪৮ ব্যাচ) বলেন, 'প্রথমে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি 'ইচ্ছা' এবং 'JU Solidarity' এর সকল সদস্য'কে। যাদের জন্য আমাদের আজকের 'গাইবান্ধার বন্যার্তদের জন্য ইদ উপহার' আয়োজন সম্ভব হয়েছে। বিশেষ করে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি মিলন ভাই ও শুভ ভাইয়ের প্রতি। আমাদের এলাকার বন্যার্ত অসহায় মানুষগুলোর হাসিটুকু'ই আমাদের প্রাপ্তি।'

ত্রাণ পাওয়া স্থানীয় মইফুল ইসলাম(বয়স-৭০)বলেন, 'হামরা নদি ভাংগা মানুষ বাবা। এক মাস হলো হামরা খুব কষ্টের মধ্যে আচি। ঘর বাড়িত পানি উঠচে। রাস্তাত আছম। ব্যাটায় ভাত দেয় না। মানুষে এনা দেয় তাই দিয়ে চলম। তোমরা হামাক যা দিলেন বাহে খুব খুশি হচি।"

বিতরণকালে ফুলছড়ি উপজেলার ইউএনও(UNO) রায়হান দোলান'সহ আরো উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজওয়ান(৩৭ ব্যাচ, দর্শন বিভাগ), মুক্ত(৩৯ ব্যাচ, নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ), জিম(৪৩ ব্যাচ বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং), মেহেদী(৪৪ ব্যাচ, সরকার ও রাজনীতি), গালিব(৪৬ ব্যাচ, প্রত্নতত্ত্ব), আওলাদ(৪৭ ব্যাচ, ভূগোল ও পরিবেশ), মিমি (৪৮ ব্যাচ, পরিসংখ্যান), বিথি (৪৮ ব্যাচ, ইংরেজি), বাঁধন (৪৮ ব্যাচ, নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ)।

(পিএস/২৯ জুলাই, ২০২০ ইং)