ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি : পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদে বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নের মরিচারচর নতুন চর ও মলামারি এলাকার তিনশ পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন। দুর্গত এলাকাবাসী খাদ্য বিশুদ্ধ পানীয় জল গো খাদ্যের তীব্র সংকটে পড়েছেন। সংকটগ্রস্থ পরিবারের মাঝে জেলা পরিষদ উপজেলা চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসান সুমন নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন ইতোমধ্যে ঢেউটিন, ঈদ উপহার সামগ্রী, নগদ অর্থ বিতরণ করেছেন। অরিবার বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে সংশ্লিষ্ট এলাকায় নদী ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারণ করেছে। গত এক সপ্তাহে নতুন চর মরিচারচর মলামারি গ্রামের ৬০টি বসতভিটা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। 


মরিচারচর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মফিদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, প্রতিদিন নদী পাড়ের মানুষের ঘরবাড়ি ফসলি জমি নদীতে বিলীন হচ্ছে। জরুরি ভিত্তিতে ভাঙ্গন প্রতিরোধে ব্যবস্থা না নিলে মরিচারচর নতুন চর এলাকা মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে।

নদী ভাঙ্গনে বসতভিটা হারা নতুন চরের বাসিন্দা আবুল কাসেম, শহীদুল্লাহ, কামাল, আব্দুস সালাম জানান, প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে চরের মানুষদের ফসলি জমি বাড়ি ঘর ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে আজ নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। চরাঞ্চলের ভিটেমাটি হারা লোকজন ভাঙ্গন প্রতিরোধে স্থায়ী সমাধানের দাবীতে ইতোমধ্যে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছেন।

সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম জানান, ব্রহ্মপুত্র নদটি ত্রিশাল উপজেলার কালীবাজারের পাশ দিয়ে সোজা প্রবাহিত ছিল। কালীবাজার সংলগ্ন মূল নদীতে চর জেগে উঠায় নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে মরিচারচর এলাকায় প্রবেশ করায় ফসলি জমি ও বাড়িঘর নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। পূর্বের মূল ধারার মাত্র এক কিলোমিটার নদী খনন করলে মরিচারচরের দশ কিলোমিটার এলাকার ভাঙ্গন রোধ হবে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, নদী ভঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষদের মাঝে খাস জমি বিতরণ, ঈশ্বরগঞ্জের সীমানায় নদী খনন, বেড়িবাঁধকে সম্প্রসারণ ও অস্থায়ী বাঁধ নির্মাণের ব্যাপারে প্রস্তাবনা প্রেরণ করা হয়েছে।

জাতীয় সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম জানান, নদী খননের ব্যাপারে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাথে কথা হয়েছে। জেলা প্রশাসক ভরাট হওয়া নদীর স্থানটি মার্কিং করে দিলেই খনন কাজ শুরু হবে।

(এন/এসপি/জুলাই ৩০, ২০২০)