বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : পানি সম্পদমন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেছেন, ‘নদীর ভাঙ্গনে অনেকে রাতারাতি নি:স্ব হয়ে যায়। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ আছে গ্রামের সাধারন মানুষকে বাঁচাতে হবে। গ্রামের মানুষ স্বাবলম্বী হলে আমাদের অর্থনীতি স্বাবলম্বী হবে।

আর তাই আমাদের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার জন্য প্রয়োজন গ্রামের মানুষকে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী করা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গ্রামের মানুষকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছেন। নদী ভাঙ্গনরোধ এমনি একটি প্রকল্প। আপনাদের এই বাউফলে নদীভাঙ্গন রোধে বিভিন্ন পদক্ষেপের মধ্যে যেগুলো একান্ত প্রয়োজন, কর্তৃপক্ষকে আমরা সেই সব পদক্ষেপ গ্রহনের নির্দেশ দেব।

তিনি আরো বলেন, ‘খুব শীগ্রই বাংলাদেশ-ভারত যৌথ নদী কমিশন বৈঠকে তিস্তার পানি নিয়ে ফলপ্রসু আলোচনা হবে। আশা করি এরপর থেকে আর আমাদের দেশে পানির সমস্যা থাকবেনা।’ বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টার দিকে পটুয়াখালীর বাউফলের তেঁতুলিয়া নদীর ভাঙ্গন কবলিত এলাকা সরেজমিন পরিদর্শনে এসে নাজিরপুর ইউপির নিমদী লঞ্চঘাট পৌঁছে বৃষ্টি উপেক্ষা করে দাঁড়িয়ে থাকা ভাঙ্গন কবলিত বিভিন্ন এলাকার উপস্থিত কয়েকশ উৎসুক লোকজনের উদ্দেশে স্পীডবোটে দাঁড়িয়ে মাইক্রোফোনে এই কথাগুলো বলেন।

এসময় তিনি ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনেরও প্রতিশ্রুতি দেন। মন্ত্রীর সঙ্গে এসময় জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ ও পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসনের স্থানীয় এমপি আসম ফিরোজ, জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার এমপি, পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক অমিতাভ সরকার, পুলিশ সুপার রফিকুল হাসান গনি ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের বরিশাল বিভাগীয় প্রকৌশলী বেলায়েত হোসেন, উপজেলা নির্বাহি অফিসার এবিএম সাদিকুর রহমান, নাজিরপুর ইউপির চেয়ারম্যান মো. ইব্রাহিম ফারুক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে মন্ত্রী সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে বাউফল পাবলিক মাঠে নেমে কালাইয়া বন্দরে পৌঁছে স্পীডবোট চরওয়াডেল, বড়ডালিমা, ধানদী, নিমদী, তাঁতেরকাঠীসহ তেঁতুলিয়ার ভাঙ্গন কবলিত বিভিন্ন পয়েন্টে পরিদর্শনে বের হন। দুপুর পৌনে ১ টার দিকে তিনি পুন:রায় হেলিকপ্টারযোগে বাউফল ত্যাগ করেন।

(এমএবি/জেএ/আগস্ট ১৪, ২০১৪)