তপু ঘোষাল (সাভার উপজেলা) : ঈদের ২য় দিনও দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে রাজধানীর সন্নিকটে সাভারের চামড়া শিল্প নগরীতে পশুর কাঁচা চামড়া ঢুকতে দেখা গেছে। করোনা ও বন্যার কারণে বিগত বছরের তুলনায় এবার কাঁচা চামড়া সংগ্রহে কিছুটা সংকট রয়েছে বলে জানান বিভিন্ন ট্যানারী কর্তৃপক্ষ। এদিকে পরিবেশ রক্ষা করে ট্যানারীতে চামড়া প্রক্রিয়াজাত করণ চলছে ও পর্যাপ্ত লবনের মজুত রয়েছে বলে জানান শিল্প সচিব।

রবিবার (০২ আগস্ট) দুপুরের পর সাভারের হেমায়েতপুরে পশুর কাঁচা চামড়া শিল্প নগরীর আশে পাশে এলাকাগুলোতে আসতে দেখা যায়। এদিকে দুপুরে সাভারে ট্যানারীর সার্বিক পরিস্থিতি পরিদর্শনে আসেন শিল্প সচিব কে এম আলী আজম ও বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন’বিসিকের চেয়ারম্যান মো. মোশতাক হাসান।

এসময় চামড়া রপ্তানির বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিল্প সচিব জানান, মুলত কেস-টু-কেস পদ্ধতিতে চামড়া রপ্তানির সুযোগ পাবেন চামড়া ব্যবসায়ী। অর্থাৎ প্রথমে ব্যবসায়ীদের আবেদন করতে হবে। পরে কমিটি যাচাই-বাছাই শেষে রপ্তানির অনুমোদন পাবে সেই প্রতিষ্ঠান বা ব্যবসায়ী।

এছাড়া এই প্রকল্পের মেয়াদ এ বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত। ফলে এই সময়ের মধ্যে সাভারে ট্যানারীতে নগরীতে আরও যেসব সমস্যা রয়েছে তা সমাধানের আশ্বাসও দেন শিল্প সচিব।

অন্যদিকে চামড়া নগরীতে সলিড বা কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য এবারও স্থায়ী সমাধান হয়নি, তবে আগামী ৩ মাসের মধ্যে আধুনিক ও স্থায়ীভাবে চামড়ার কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সম্পন্ন করার দাবী করেন বিসিক চেয়ারম্যান মোশতাক হাসান।

তিনি আরও জানান নগরী কেন্দ্রীয় বর্জ্য পরিশোধনাকার’সিইটিপি বর্জ্য পরিশোধনের পর যে পানি বের হয়; তা পরিবেশের স্ট্যান্ডার্ড যে মাত্রা থাকার কথা তা বিগত ৬ মাস ধরে ঠিক রয়েছে। তবুও পরিশোধনের পর পানির রংটা এখানো নদীর পানির মত নয়, ফলে পরিশোধিত পানি যাতে করে নদীর পানি মতো হয়, সেই লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে।

(ওএস/এসপি/আগস্ট ০২, ২০২০)