স্পোর্টস ডেস্ক : কোনো সন্দেহ ছাড়াই ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি লিগগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জমজমাট ও জনপ্রিয় ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। যেখানে মাঠে যেমন হয় হাড্ডাহাড্ডি লড়াই, তেমনি মাঠের বাইরে রয়েছে অর্থ ও গ্ল্যামারের প্রাচুর্য।

এ টুর্নামেন্টে অর্থের আধিক্য এতটাই বেশি যে, পুরো পাকিস্তান ক্রিকেট দল সারাবছরে যত টাকা পারিশ্রমিক পায়, তাতার প্রায় সমান অর্থ এক আইপিএল খেলেই আয় করেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের তারকা অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজা। কোনো মনগড়া তথ্য নয়, আসল সত্যই এটি।

আইপিএলে দীর্ঘদিন ধরে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে খেলছেন জাদেজা। ২০১৮ সালের আসরে চেন্নাইয়ের শিরোপা জয়ে বড় অবদান রেখেছিলেন এ বাঁহাতি স্পিনিং অলরাউন্ডার। আইপিএলের আসন্ন আসরেও চেন্নাইয়ের হয়েই খেলার কথা রয়েছে তার।

এ ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলার সুবাদে ৭ কোটি রুপি পেয়ে থাকেন জাদেজা। চেন্নাইয়ের চতুর্থ দামি ক্রিকেটার তিনি। তার চেয়ে বেশি অর্থ পান অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি, সুরেশ রায়না এবং কেদার যাদভ। ২০১২ থেকে চেন্নাইয়ের সঙ্গে থাকা জাদেজার বর্তমান পারিশ্রমিক ৭ কোটি রুপি।

তার এই পারিশ্রমিকের অঙ্কটা পুরো পাকিস্তান ক্রিকেট দলের বাৎসরিক পারিশ্রমিকের চেয়ে মাত্র ৪০ লাখ রুপি কম। অর্থাৎ সারা বছরে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় চুক্তিভুক্ত ১৮ ক্রিকেটার পান ৭ কোটি লাখ রুপি। সেখানে এক আইপিএল খেললেই জাদেজার ব্যাংক একাউন্টে যায় ৭ কোটি রুপি।

পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) সবশেষ চুক্তি অনুযায়ী এ গ্রেডে থাকা বাবর আজম, আজহার আলি ও শাহিন শাহ আফ্রিদি বছরে পান ৬০ লাখ রুপি করে। বি গ্রেডে থাকা আসাদ শফিক, হারিস সোহেল, মোহাম্মদ আব্বাসসহ মোট ৯ জন পান ৪১ লাখ রুপি করে। সি গ্রেডে থাকা ৬ ক্রিকেটারের বাৎসরিক পারিশ্রমিক ৩০ লাখ রুপি।

এই ১৮ ক্রিকেটারের বাৎসরিক পারিশ্রমিকের যোগফল দাঁড়ায় ৭ কোটি ৪০ লাখ রুপি। অথচ আইপিএলের এক মৌসুমেই জাদেজা পেয়ে থাকেন ৭ কোটি রুপি। এর সঙ্গে ম্যাচ জিতলে উইনিং বোনাস, ম্যাচসেরা হলে বড় অঙ্কের পুরস্কারের অর্থ মিলিয়ে পাকিস্তান দলের চেয়ে বেশি আয়ই হয় জাদেজার।

(ওএস/এসপি/আগস্ট ০২, ২০২০)