স্টাফ রিপোর্টার : স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, আমাদের মতো একটি ঘনবসতিপূর্ণ দেশেও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার কমাতে সক্ষম হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বে প্রশংসিত হচ্ছেন।

তিনি বলেন, ইউরোপ-আমেরিকা নিয়ে বিশ্বব্যাপী সমালোচনা হচ্ছে। এমনকি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতও হিমশিম খাচ্ছে। ভারতে দিনে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ আক্রান্তের পাশাপাশি মৃত্যুও হচ্ছে প্রচুর। কিন্তু আমাদের দেশে শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এখন ১.৩১ শতাংশ। দিনে দিনে আক্রান্তের হারও কমে যাচ্ছে। এই কোরবানি ঈদে আক্রান্ত সামান্য বৃদ্ধি পেলেও তা সামলে নেয়ার সক্ষমতা এখন স্বাস্থ্যখাতের রয়েছে।

সোমবার (৩ আগস্ট) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে মিডিয়া ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।

করোনার ভ্যাকসিন পাওয়া প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের অনেক দেশই করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কারের পথে রয়েছে। কোনো কোনো দেশ তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষার মধ্যেই আছে। ভ্যাকসিন আবিষ্কার হলে বাংলাদেশ যেন আগে পায় সে ব্যাপারে সরকার তৎপর রয়েছে।

ব্রিফিংকালে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান, স্বাস্থ্যশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদফতরের মহাপরিচালক সিদ্দিকা আক্তার, স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসেনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি

বাংলাদেশে করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। এতে প্রথম মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে মারা গেছেন আরও ৩০ জন। ফলে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা এখন তিন হাজার ১৮৪।

একই সময়ে এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে আরও ১৩৫৬ জনের দেহে। এ নিয়ে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল দুই লাখ ৪২ হাজার ১০২ জনে।

বৈশ্বিক সর্বশেষ

গোটা বিশ্বকে মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেছে করোনাভাইরাস। চীনের উহান শহর থেকে গত ডিসেম্বরে ছড়ানো ভাইরাসটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা এক কোটি ৮২ লাখ ছাড়িয়েছে। মৃতের সংখ্যা ছয় লাখ ৯২ হাজারের বেশি। তবে সুস্থ রোগীর সংখ্যা এক কোটি সাড়ে ১৪ লাখের বেশি।

(ওএস/এসপি/আগস্ট ০৩, ২০২০)