ইন্দ্রজিৎ কুমার সাহা, কালিয়াকৈর (গাজীপুর) : গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার ঢাকা টাঙ্গাইল হাইওয়ে মৌচাক বাসস্ট্যান্ডে দুই বাসের সংঘর্ষে ১০ জন গুরুতর আহত হন।আহতদের স্থানীয় মৌচাক পপুলার হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। আহতদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। দুজন সম্পর্কে মা ছেলে তাদের দুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমুদিনী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মৌচাকে স্ট্যান্ডে ঢাকার সাভার রুট এর প্রভাতী বনশ্রী বাসটি যাত্রী উঠানামা করছিলেন। ঠিক একই সময় ঢাকা কালিয়াকৈর রুট এর আজমেরী গ্লোরী বাসটি পিছন থেকে সজোরে বনশ্রী পরিবহন কে ধাক্কা মারে। এসময় আজমেরি বাসটির সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে যায়। আজমেরী গ্লোরী বাস টির সামনে বসা মহিলা যাত্রীদের এবং বাচ্চাদের মারাত্মক ক্ষতি হয়। বিক্ষুব্ধ জনগণ আজমেরী বাস টির চালককে ব্যাপক গণধোলাই দেন। এক পর্যায়ে বাসটির চালক ও হেলপার পালিয়ে যেতে সক্ষম হন।

ক্ষতিগ্রস্থ আজমেরী গ্লোরী বাস টির যাত্রীদের সাথে কথা বলে জানা গেল উক্ত গাড়ির চালক ঢাকা থেকেই উশৃংখল ভাবে বাসটি চালাচ্ছিলেন। বাসের আরো কিছু যাত্রীদের সাথে কথা বলে জানা গেল উক্ত বাসটি চৌরাস্তা বাইপাস সড়কে অন্য গাড়িতে লাগিয়ে দিয়েছিল ওখান থেকে তড়িঘড়ি করে পালিয়ে আসে এবং অবশেষে মৌচাক স্ট্যান্ডে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটায়। আরো অভিযোগ উঠেছে আজমেরী পরিবহন সংস্থা এ বিশ্ব মহামারী করোনা ভাইরাস উপেক্ষা করে কোন প্রকার নিরাপত্তা সরঞ্জাম ছাড়াই অধিক যাত্রী গ্রহণ করছিলেন। ঘটনাস্থলে কিছু উশৃংখল জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত বাসের যাত্রীদের মোবাইল এবং মানিব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যান।

দুর্ঘটনা ঘটার কিছুক্ষণের মধ্যে কোনাবাড়ী হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় হাইওয়ে পুলিশ কর্তৃপক্ষ রাস্তার যানজট ক্লিয়ার করেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত বাসটি রেকার দিয়ে কোনাবাড়ী হাইওয়ে ডাম্পিং জোনে নিয়ে যান।

এসময় দায়িত্বপ্রাপ্ত ইনচার্জ এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, এ ঘটনায় চালক ও হেলপার এবং মালিক পক্ষের বিরুদ্ধে মামলা হবে। তিনি জানান আজমেরী কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে এবং অদক্ষ চালক দ্বারা যাত্রীবাহী এত বড় বাস চালানোর কারণেই হরহামেশাই ঢাকা-টাঙ্গাইল রুটে বিশৃংখলা এবং মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটে।

(আইএস/এসপি/আগস্ট ০৩, ২০২০)