আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : বরিশালের আগৈলঝাড়ায় গত কয়েকদিনের টানা ভাড়ি বর্ষণ ও উত্তরের নদ-নদীর জোয়ারের পানি  বৃদ্ধির কারণে ডুবে যাচ্ছে পান চাষিদের পান বরজ। বিপুল পরিমান আর্থিক ক্ষতির সন্মুখিন হয়ে দিশেহারা হয়ে পরা চাষিরা সর্বশান্ত হয়ে পরছেন। 

উপজেলা উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্র মন্ডল জানান, উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে মোট ২শ ২৫হেক্টর জমিতে পান চাষের সাথে অন্তত ২২শ ৫০চাষি পরিবার প্রত্যক্ষভাবে জড়িত রয়েছেন। এই ব্যবসার সাথে পরোক্ষভাবে জড়িত রয়েছেন কয়েক হাজার পরিবার। এসকল পরিবারের একমাত্র উপার্জণ ছিল পান বরজ। অল্পদিনে পান বাজারজাত করা যায় বলে অনেকেই পান চাষে আগ্রহী হয়ে ফসলী জমিতে মাটি ভরাট করে পান বরজ করেছিলেন। সচরাচর এতো বেশী পানি না হওয়ায় কৃষি জমির অপেক্ষাকৃত উচু জমিতে পান চাষ করায় কয়েকদিনের টানা ভারি বর্ষণ, উত্তরের নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি ও এলাকার উপর দিয়ে সাগরে পানি নামার কারনে উপজেলায় পানিবৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে নীচু জমির পান বরজগুলো পানিতে ডুবে পানের লতা মরে গিয়ে পান বরজের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।

ওই কর্মকর্তা আরও জানান, উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশী পান চাষ হয়। ওই ইউনিয়নের রাজিহার, রাংতা, কান্দিরপাড়, চেঙ্গুটিয়া, এলাকায় সবেচেয়ে বেশী পান বরজের ক্ষতি হচ্ছে। এছাড়ারও বাকাল ইউনিয়নেও পান বরজ তলিয়ে যাচ্ছে। পানের লতায় গোড়ায় একবার পানি জমলে লতাগুলো আস্তে আস্তে শুকিয়ে মরে যায়। তাই পান বরজের চারদিকে বাঁধ দিয়ে মেশিন দিয়ে সেচ দিয়ে চাষিদের পান বরজ রক্ষার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। এ পর্যন্ত অন্তত ১০ হেক্টর জমির পান বরজ নষ্ঠ হয়ে গেছে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।

এদিকে বর্তমানে পানের বাজার মূল্য কম থাকায় হাট বাজারেও পান বিক্রি করতে না পেরে চরম বিপাকে পরেছেন চাষিরা। চাষীরা তাদের শেষ সম্বল পান বরজ রক্ষায় মাটি ও পলিথিন ব্যবহার করে অস্থায়ীভাবে বাঁধ দিয়ে বিভিন্ন উপায়ে পান বরজ রক্ষায় দিন-রাত আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. নাসির উদ্দিন বরেন ক্ষতিগ্রস্থ পান চাষিদের তালিকা প্রনয়নের কাজ চলছে। তালিকা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে। সরকার ক্ষতিগ্রস্থ পান চাষিরে বিষয়ে চিন্তা করে কোন সাহায্য সহযোগীতা প্রদান করলে চাষিরা উপকৃত হবেন।

(টিবি/এসপি/আগস্ট ০৬, ২০২০)