তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক : উই চ্যাটে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা জারির পর থেকে এই মেসেঞ্জারের মাধ্যমে চীনে পরিবারের সাথে যোগাযোগ করতে পারছেন না যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত নাগরিকরা। খবর রয়টার্সের।

এই স্নায়ুযুদ্ধে উই চ্যাট ব্যবহারকারী মার্কিন নাগরিক নিজেদের দুই দেশের দ্বন্দ্বের শিকার বলে মনে করছেন।

চীনা ইন্টারনেট জায়ান্ট টেন্সেন্ট হোল্ডিংস লিমিটেডের একটি উদ্যোগ উই চ্যাট। যা চীনা নাগরিকদের মধ্যে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে। পারিবারিক অথবা ব্যবসা সংক্রান্ত কাজে মার্কিন নাগরিকরা চীনে যোগাযোগের জন্য এই অ্যাপ বেশি ব্যবহার করেন।

যদিও চীনে অনেক আগে থেকেই ফেসবুক মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রামসহ অনেক মার্কিন অ্যাপ নিষিদ্ধ রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের দেলাওয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক চীনা ছাত্র জানান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলাম এখানের তথ্য প্রবাহের জন্য। কিন্তু এ ঘটনার পরে নিজেকে ট্রাম্পের কূটনীতির শিকার বলে মনে হচ্ছে। পরিবারের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছি। এই চিন্তা আমাকে তাড়া করে বেড়াচ্ছে প্রতিনিয়ত।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই নিষেধাজ্ঞা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত ৬০ লাখেরও বেশি চীনা নাগরিকদের জন্য সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে। অবশ্যই তারা এখন যোগাযোগের জন্য তাদের বিকল্প পরিকল্পনার দিকে আগাবে।

অ্যাপ্লিকেশন বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান অ্যাপটোপিয়ার মতে, নিষেধাজ্ঞার পর অ্যাপটির ব্যবহার কমেছে। আগে প্রতিদিন ১ কোটি ৯০ লাখ ব্যবহারকারী অ্যাপটি ব্যবহার করতেন।

অনেক উই চ্যাট ব্যবহারকারী বিকল্পে অ্যাপে যোগাযোগের পথ বেছে নিয়েছেন। কেউ কেউ স্কাইপ কিংবা লিংকডইন ব্যবহার করে যোগাযোগের চেষ্টা চালাচ্ছেন। আবার অনেকে ব্যবহার করেছে ভিপিএন।

(ওএস/এসপি/আগস্ট ০৮, ২০২০)