মো: আব্দুল কাইয়ুম, মৌলভীবাজার : মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার কামারচাক ইউনিয়নের বিভিন্ন উন্নয়ন কাজে এক কোটি টাকার বৃহৎ প্রকল্প গ্রহণ, তারাপাশা স্কুল এন্ড কলেজে এসএসসিতে এ প্লাস প্রাপ্ত মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য একাদশ শ্রেনিতে ভর্তি ফি নিজের প্রতিষ্ঠিত শিল্প প্রতিষ্ঠান অলিলা গ্রুপ ও কামারচাক ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন সংযুক্ত আরব আমিরাত যৌথভাবে বহন করবে বলে ঘোষনা দিয়েছেন বিশিষ্ট শিল্পপতি ও অলিলা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং তারাপাশা স্কুল এন্ড কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জিল্লুর রহমান। 

শুক্রবার (৭ আগস্ট) বিকালের দিকে করোনা মহামারিতে সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে অলিলা গ্রুপ ও কামারচাক ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন সংযুক্ত আরব আমিরাত এর যৌথ আয়োজনে তারাপাশা স্কুল এন্ড কলেজের ২০২০ সালের এসএসসি পরীক্ষায় এ প্লাস প্রাপ্ত মেধাবী শিক্ষার্থীদের দেয়া সম্বর্ধনা অনুষ্ঠনে সভাপতির দেয়া বক্তব্যে এ ঘোষনা দেন তিনি ।

এডভোকেট পার্থ সারথী পাল এর সঞ্চালনায় সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মো: আজমল হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, রাজনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান খাঁন ও রাজনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: আবুল হাসিম ।

শিল্পপতি জিল্লুর রহমান বলেন, কামারচাক ইউনিয়ন হচ্ছে সবচেয়ে অবহেলিত জনপদ, এই ইউনিয়নকে আমাদের অলিলা গ্রুপ ও কামারচাক ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন সংযুক্ত আরব আমিরাত যৌথভাবে আগামী পাঁচবছরের একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। আমরা সেই পরিকল্পনার আওতায় ২০২১ সালে পঞ্চাশ লক্ষ টাকা ব্যায়ে মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল, রাস্তা-ঘাট ব্রিজ-কালভাট করে দিবো। ২০২২ সালে আরো পঞ্চাশলক্ষ টাকা দিয়ে কামারচাক ইউনিয়নের বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজে আমরা অংশগ্রহণ করব।

মেধাবী শিক্ষার্থীদের একাদশ শ্রেনীতে ভর্তি ও টিউশন ফি অলিলা গ্রুপ বহন করবে। যারা এ প্লাস প্রাপ্ত হয়েছেন তাদের ভর্তি ফি অলিলা গ্রুপ ও কামারচাক ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন সংযুক্ত আরব আমিরাত যৌথভাবে বহন করবে।
এসএসসিতে নতুন এ প্লাস প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, এই তারাপাশা স্কুল এন্ড কলেজকে আমরা আমাদের গর্ভনিং বডির সদস্যবৃন্দসহ এবং শিক্ষকবৃন্দসহ আগামী তিন বছরের মধ্যে আমারে স্কুল এন্ড কলেজকে জেলার প্রথম সারির একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্ঠা করব। এই প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষা অর্জন করে শিক্ষার্থীরা যেন আগামীতে সচিব, ডিসি,এসপি,ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ারসহ সম্মানজনক পেশায় আসতে পারে সে চেষ্ঠা আমরা অব্যাহত রাখবো। এখানে জন্ম নেয়া কেউ সচিব, ডিসি,এসপি কিংবা ইঞ্জিনিয়ার না হতে পারা আমার জন্য হতাশা এবং দুর্ভাগ্যের, যেকারনে আমি এই প্রতিষ্ঠানের গর্ভনিং বডিতে আসা। শিক্ষকদের নিয়ে আমার প্রচেষ্ঠা থাকবে এই তারাপাশা স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা মেধার আন্বেশন ঘটিয়ে যেন আগামীতে সচিব,ডিসি,এসপি হয়ে এই ইউনিয়নের সম্মান বাড়িয়ে তুলে।

সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, তারাপাশা স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রহিম খাঁন, প্রবীণ রাজনীতিবীদ আব্দুল বারী, সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল গফফার মায়া, লন্ডন প্রবাসী আব্দুল হান্নান, আরব আমিরাত প্রবাসী শামীম আহমেদ, কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী ও লাখাই থানায় কর্মরত পুলিশ সদস্য হাবিজুল ইসলাম সুহেল, রাজনগর উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল সাম্মু ও সম্বর্ধিত শিক্ষার্থী বদরুন্নাহার মরিয়ম প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে এসএসসিতে এ প্লাস প্রাপ্ত মেধাবী শিক্ষার্থীরা নগদ চারহাজার টাকা ও একটি করে ক্রেষ্ট উপহার হিসেবে অতিথিদের কাছ থেকে গ্রহণ করেন। এসময় অন্যান্য শ্রেনীতে অধ্যায়নরত মেধাবী শিক্ষার্থীদেরও নগদ অর্থ ও ক্রেষ্ট তুলে দেয়া হয়।

(একে/এসপি/আগস্ট ০৮, ২০২০)