প্রবীর সিকদার


মোশতাক-জিয়া খুনি চক্র সেদিন শুধু জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর বহমানকে খুন করেনি, তারা খুন করেছিলো বাংলা ও বাঙালির আশা, আকাঙ্খা আর সম্ভাবনাকে। ১৫ আগষ্টের কাল রাতে বঙ্গবন্ধুর সাথে আরও যারা খুন হয়েছিলেন তারা হলেন, বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব, শেখ কামাল, বেগম সুলতানা কামাল, শেখ জামাল, বেগম রোজী জামাল, শেখ রাসেল, শেখ ফজলুল হক মনি, বেগম সামসুন্নেসা মনি, শেখ আবু নাসের, আবদুর রব সেরনিয়াবাত, শহীদ সেরনিয়াবাত, বেবী সেরনিয়াবাত, আরিফ সেরনিয়াবাত, বাবু সেরনিয়াবাত, নান্টু, কর্ণেল জামিল ও বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে দায়িত্বরত একজন পুলিশ কর্মকর্তা। জানোয়ার ঘাতক চক্র বঙ্গবন্ধু পুত্র শেখ রাসেলসহ বেশ কয়েকজন শিশুকে নৃশংসভাবে হত্যা করতেও দ্বিধা করেনি। এই শিশুদের বয়স ছিল ৫ থেকে ১৪ বছরের মধ্যে। এ কী বিভৎসতা!
পিতা! তোমার খুনি ফারুক ও রশিদ একাধিকবার বলেছে, তোমাকে খুনের বিষয়টি তোমারই প্রিয়ভাজন খন্দকার মোশতাককে তারা ১৯৭৫ এর জুলাই মাসে জানায়। পরে ২ আগষ্ট মোশতাকের সঙ্গে পরামর্শ করেই তারা তোমাকে খুন করার পরিকল্পনাটি পাকা করে। তোমার মন্ত্রী পরিষদের আরেক সদস্য তাহের উদ্দিন ঠাকুরও বলেছে, তার বাসাতেই নাকি তোমার হত্যাকান্ডের বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়। এমনও শোনা যায়, তুমি নাকি বালি হাঁসের মাংস ভালো খেতে। তোমাকে খুন করবার মাত্র দুই দিন আগে মোশতাক বালি হাঁসের মাংস রান্না করে তোমার বাসায় দিয়ে যায়। কী ভয়ংকর খুনি মোশতাক! মানুষ এতো ঠান্ডা মাথায় মানুষ খুন করতে পারে! সেটাও আবার তোমার মতো একজন মহৎপ্রাণ মানুষকে!