শাহ্ আলম শাহী


অংকটা তত বেশি নয়,দশ হাজার। তারপরও প্রধানমন্ত্রী’র উপহার। প্রশংসা যেমন আছে, বিতর্কেরও শেষ নেই।পেয়েছে, গড়ান। প্রবীন আর নবীন, সাংবাদিকব আর সাংঘাতিক,কিংবা সম্বাদিক আর সাম্বাদিকের নেই কোন তফাৎ। স্থান পায়নি,মর্যাদা’র গৌরব। পুলিশ কনেষ্টবল থেকে পুলিশের এসপি। তাদের যেমন বেতন, সম্মান বা মর্যাদা’র পার্থক্য আছে। একজন নার্সারি শিক্ষার্থী কিংবা বিসিএস ক্যাডার পরীক্ষার্থীর আছে পার্থক্য। প্রতিটি পেশাগত পদবী’র মর্যাদা,সম্মান বা বেতন-বোনাসের পার্থক্য আছে।কিন্তু, সাংবাদিকের ক্ষেত্রে যেনো সবই সমানে-সমান। এভাবেই বিবেচিত হয়েছে, করোনাকালিন পরিস্থিতিতে সাংবাদিকদের দেয়া প্রধানমন্ত্রী’র আর্থিক সহায়তা বা অনুদান।

এ কারণে কেউ কেউ তা নাকি গ্রহণ করেনি। আবার কেউ তা গ্রহণ করে নিজে ভোগ না করে বিলি বন্টন করে দিয়েছেন,অন্যত্রে। উপজেলার সাংবাদিকরা এক্ষেত্রে বৈষম্যে শিকার হয়েছে। তাদের প্রতি চমর অন্যায় করা হয়েছে। জেলার সাংবাদিকরা নয়, শহরের সাংবাদিকরা পেয়েছে।দলীয়করণ করা হয়েছে।এমন নানা অভিযোগ আর অনুযোগ প্রতিনিয়ত ভাসছে,সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে।দু’টি সাংবাদিক সংগঠনের কেন্দ্রীয় বড় পদে অবস্থান করায় বিভিন্ন জেলা থেকে মুঠোফোনেও এনিয়ে নানা ধরণের অনেকেই কথাও শুনতে হচ্ছে। অভিযোগ-অনুযোগতো আছেই।

বিশেষ করে করোনাকালিন পরিস্থিতিতে সাংবাদিকদের প্রধানমন্ত্রী’র আর্থিক সহায়তার চেক নিজেই গ্রহণ করার ছবি বেশকিছু মিডিয়ায় প্রকাশের পর তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করায় আরও বিপত্তি বেঁধেছে, অনেকের। কিন্তু, নিজে ইচ্ছে করেই সেই চেক গ্রহণের ছবি প্রচার করেছি মিডিয়ায়। আলেচনার বিশ্লেষন জানার তাগিদেই।
আমার সাংবাদিকতা শুরু আশি দশকে।স্থানীয় আর জাতীয় নিয়মিত-অনিয়মিত পত্রিকা থেকে এখন বিশ্বের বাংলা ভাষাভাষিতের জনপ্রিয় মিডিয়ায়। সপ্তাহে দু’একবার হলেও পৃথিবীর মানুষ আমাকে দেখে, সংবাদ পরিবেশনের সুবাদে।সরাসরি না দেখলেও টেলিভিশনের পর্দায় দেখার সুবাদে নামটাও অনেকে চেনে। এক সময় টেলিভিশন সাংবাদিকতায় সংবাদ সংগ্রহে চষে বেড়াতে হয়েছে, গোটা উত্তরাঞ্চলে। এখন কর্মরত প্রতিষ্ঠানে জনবল বৃদ্ধি বা জেলা ভিত্তিক প্রতিনিধি নিয়োগ পাওয়ায় কর্মক্ষেত্রের পরিধিটা কমেছে।

তবে, পদবী’র দিক দিয়ে বিচরণের অবস্থা অব্যাহত রয়েছে। আগের মতো বয়স নেই। নেই, জোশও। শরীরে নানা রেগের চাষাবাদ। তারপরও থেমে নেই কর্মযজ্ঞ। প্রতিষ্ঠানের বাধ্যতামূলক তাগাদা না থাকলেও এই ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতিতেও প্রতিনিয়ত ছুঁটে চলা হচ্ছে, পেশাগত দারিত্বে।আমার সংশ্লিষ্ট ইলেক্ট্রনিক, প্রিন্ট কিংবা অনলাইন মিডিয়ায় যারা চোখ বুলায়, তাদেরই দৃশ্যপট আমার ছুঁটে চলার পথের। সংবাদ সংগ্রহ ও পরিবেশনে রয়েছে,গতানুগতিকের পাশাপাশি এক্সক্লুসিভ। এই করোনাকালিন প্রতিদিনের চিত্রতো অছেই। করোনা আক্রান্ত হয়ে মুত্যু বা করোনা উপস্বর্গে মৃত্যু এবং আক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নামও থাকছে,আমার নিউজে।

করোনায় মৃত বা আক্রান্ত ব্যক্তিদের নাম প্রকাশের বিষয়ে আগে অনেকে বির্তকে জড়ালেও এখন তারা নীরবে রয়েছে। এর পেছনেও রয়েছে, সংবাদ। সাধারণ পাঠক বা দর্শক নাম জানতে চাইলে কিছু কিছ সাংবাদিক বলেছে, “আমি করোনায় মৃত বা আক্রান্তদের নাম প্রকাশ করি না। এটা সাংবাদিকতার নীতিমালার পরিপন্থি।” কিন্তু, তারাই এখন আবার নাম যদি পায়, বা পরিচিত ব্যক্তি হয় তাহলে নাম প্রকাশ করছে। এর মুল কারণ হচ্ছে, আগে পাঠক বা দর্শক নাম জানতে চাইলেও তারা নাম না জানায় পাঠক বা দর্শককেও জানাতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই, আশ্রয় নিয়েছে বিকল্প পথের। অর্থাৎ,নাম জানানো সাংবাদিকতার নীতিমালার পরিপন্থি বলে নিজেকে সামলিয়ে নিয়েছে।

অন্যদিকে, দিনাজপুরে যে ক’জন সাংবাদিক করোনা আক্রান্ত হয়েছে, তাদের অধিকাংশকেই নিয়ে আলাদা এক্সক্লুসিভ রিপোর্ট আমাকেই করতে হয়েছে।যা অন্য সাংবাদিকরা করেনি। এই এক্সক্লুসিভ রিপোর্ট করতে গিয়েও প্রতিবন্ধকতা এসেছে। রিপোর্ট না করার জন্য মুঠোফোনে জানিয়েছে ৩য় পক্ষ কেউ কেউ।এতে নাকি ওই সাংবাদিক হতাশ হয়ে মৃত্যু বরণ করবে বলে আমাকে জানিয়েছে। কিন্তু, আমার প্রশ্ন ছিলো, কেনো রিপোর্ট করা যাবে না, এতে কি বাধা বা নিষেধ আছে ? পৃথিবী জুড়ে যেসব রাষ্ট্রীয় প্রধান, মন্ত্রী, প্রতিষ্ঠানের প্রধান, চলচ্চিত্র, সাংস্কৃতিক, সামাজিক ব্যক্তিত্ব, গুণিজনরা করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন, তাদের নাম কি নিউজে আসছেনা ? তাহলে, আমার সাংবাদিক ভাইয়ের নাম আসতে বাধা কোথায় ? রিপোর্ট করার পর ওই ওইসব করোনা আক্রন্ত সাংবাদিক আমাকে নিজে ফোন করে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।কারণ,করোনা আক্রান্ত সাংবাদিকদের অনুপ্রেরণা যোগাতে এবং তার শুভাকাংখিদের দো’আ চাইতে তার প্রশংসনীয় দিকগুলো রিপোর্টে তুলে ধরা হয়েছে।

তাই, পর্বতীতে করোনা আক্রান্ত কয়েকজন সাংবাদিক নিজে ফোন করে,কেউ আবার ফেসবুকের ইনবক্স ম্যাসেঞ্জারে ছবি পাঠিয়ে তাকে নিয়ে রিপোর্ট করার জন্য অনুরোধ করেছে। তাদের নিয়ে রিপোর্টও করা হয়েছে। অসংখ্য মানুষের দো’আ পেয়েছেন তারা। সুস্থ্যও হয়ে উঠেছেন অনেকেই। আমাকে ফোন দিয়ে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। কেউ কেউ উপহারও দিয়েছেন। এটা শুধু দিনাজপুরের চিত্র নয়, বলছি, দেশের বেশকিছু স্থানের। যে পরিস্থিতি তাতে আমি যে করোনা আক্রান্ত হবো না, তাতে নিশ্চয়তা কিসে ? আক্রান্ত হলে, আমাকে নিয়ে এক্সক্লুসিভ রিপোর্ট করবে কে ?

এমন নানা প্রশ্নও ঘুরপাক খাচ্ছে, হৃদয়জুড়ে! এই করোনা পরিস্থিতিতে নিজের সাথে নিজেকে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করতে হচ্ছে। ঘরে থাকতে চাইলেও দংশিত হচ্ছে, বিবেক। ছুঁটতে হচ্ছে, সংবাদের পেছনে। অবিরাম-অবিরত। শুধু আমি নই, করোনাকালিন নিজের সাথে যুদ্ধ করছে, প্রতিটি সাংবাদিক।

বৈশ্বিক সমস্যা করোনাকালিন সাংবাদিকরা প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করছেন,নিজের সাথেই। মানুষকে সচেতন বার্তা পৌঁছাতে, ঘরে থাকা মানুষকে গরম খবর, টাটকা খবর জানাতে অবিরাম ছুঁটছেন,সাংবাদিকরা। তারা খবর পৌঁছে দিচ্ছেন,কিন্তু, এই করোনাকালিন তারা কেমন আছেন, এই খবর নিচ্ছেন না কেউ। দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সীমিত পরিসরে হলেও সাংবাদিকের পাশে দাঁড়িয়েছেন। করোনাকালিন পরিস্থিতিতে সাংবাদিকদের আর্থিক সহায়তা দিচ্ছেন তিনি। এ নিয়ে মাঠ পর্যায়ে ভুল-ক্রুটি থাকলেও এই উদ্যোগ গ্রহণ করায় প্রধানমন্ত্রী প্রশংসার দাবীদার।

এ বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী ড.হাছান মাহমুদ বলেছেন, করোনা পরিস্থিতিতে দেশের নানা পেশার মানুষের মতো বহু সাংবাদিকও অসুবিধায় নিপতিত হয়েছেন। ‘অসুবিধায় নিপতিত সাংবাদিকদের আর্থিক সহায়তার বিষয়টি আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করেছিলাম। সে প্রেক্ষিতে এ পরিস্থিতিতে যারা অসুবিধায় পড়েছে, তাদেরকে আর্থিকভাবে সহায়তার জন্য তাঁর নির্দেশনারম প্রেক্ষিতে আমরা বিশেষ তহবিল থেকে সাংবাদিকদের সহায়তার করছি।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোল্লা জালাল এ নিয়ে জানিয়েছেন, করোনা মহামারীর এই সময়ে দেশে ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও সেনা সদস্যদের পাশাপাশি সাংবাদিকরা সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।

এ কাজে সম্পৃক্ত সকলের সুরক্ষা থাকলেও সাংবাদিকদের নেই। এর বাইরেও ছাঁটাই, বেতন না দেয়া, কমিয়ে দেয়া ইত্যাদি নানা নিপীড়নের মধ্যেও সাংবাদিকরা দায়িত্ব পালন থেকে বিরত হয়নি। এসব নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। ইউনিয়নের পক্ষ থেকে দাবি-দাওয়া, দেন-দরবার, আন্দোলন সংগ্রাম কম হয়নি। এখনও হচ্ছে। কিন্তু তাতেও ছাঁটাই বন্ধ হচ্ছে না। এহেন পরিস্থিতিতে সাংবাদিকদের আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য বিএফইউজে ও ডিইউজে নেতৃবৃন্দ প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানায়। তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি শুরু থেকেই সাংবাদিকদের সমস্যাগুলো সম্পর্কে জানতেন।

তিনি এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে সবকিছু অবহিত করলে মানবতার প্রতীক, সাংবাদিকবান্ধব প্রধানমন্ত্রী এই দুঃসময়ে সাংবাদিকদের পাশে দাঁড়ান। তিনি আর্থিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে সাংবাদিকদের সাহস দেয়ার পদক্ষেপ নেন যা ইতিহাসে একটি বিরল ঘটনা। শুধু করোনাকালেরই নয়, তিনি সাংবাদিকদের কল্যাণে প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট।’ ওই ট্রাস্টের মাধ্যমে সারা বছর ধরে সাংবাদিকদের আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়ে থাকে। ট্রাস্ট থেকে আবেদনকারীরা সর্বনিম্ন ৫০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত পেয়ে থাকেন।

সাংবাদিক নেতা মোল্লা জালাল ঠিকই বলেছেন। আমি নিজে তার স্বাক্ষী। ‘বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট’ থেকে চিকিৎসার জন্য আমি নিজে এক লক্ষ টাকা পেয়েছি। চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রী নিজেও তার তহবিল থেকে আমাকে এক লক্ষ টাকা দিয়েছেন। এসব পেয়েছি ৩ বছর আগে।

‘বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট’ বিভিন্ন ঘটনায় নিহত, আহত, অসুস্থ, দুস্থ্য-অস্বচ্ছল সাংবাদিক ও সাংবাদিক পরিবারকে সরকারি তহবিল থেকে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে।কিন্তু, তা জানেন না অনেক সাংবাদিক। অনেক সময় কতিপয় সাংবাদিক নেতা তা লুটেপুটে খাচ্ছেন। সুস্থ্য হয়েও অসুস্থ্য সেজে, কেউ বিত্তবান হয়েও দুস্থ্য-অস্বচ্ছল সেজে ‘বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট’ এর টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। কোন কোন সাংবাদিককে তা নিতে সহায়তা করায় কথিপয় সাংবাদিক নেতা সেখান থেকে ৩০/৪০ শতাংশ কমিশনও নিয়েছেন। এমন প্রমাণ আছে।

করোনাভাইরাসের ভয়াবহতার সঠিক খবর পৌঁছে দিতে সংবাদকর্মীরা সকল ঝুঁকি নিয়েও কাজ করে চলেছেন। ‘আপনি ঘরে থাকুন, খবর আমরা পৌঁছে দেব’ বলে যে তথ্যসেবার বানী উচ্চারণ করছেন। মিথ্যা রটনা আর গুজব প্রতিহত করে বস্তুনিষ্ঠ খবর জানিয়ে দিতে সদা সচেতন রয়েছেন। ঠিক তখনই পেশা হিসেবে সাংবাদিকতা এবং তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে মহা সংশয়ে রয়েছেন, জেলা-উপজেলার সাংবাদিকরা।

করোনা এখন বৈশ্বিক মহামারি। বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্বই এখন এক চরম ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। থমকে গেছে জীবন, পাল্টে যাচ্ছে জীবনাচার। চারদিকেই শুধু মৃত্যুর মিছিল, খারাপ খবর। অদৃশ্য করোনাভাইরাসের ভয়ংকর ছোবলে তছনছ হয়ে গেছে বিশ্ব পরিস্থিতি। মহাশক্তিধর দেশগুলোও হাবুডাবু খাচ্ছে, পরিস্থিতি সামাল দিতে। মুখ থুবড়ে পড়েছে অর্থনীতি। বাড়ছে বেকারত্ব ও ক্ষুধা। আমাদের দেশে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে অবাধ তথ্যপ্রবাহ সচল রাখতে সাংবাদিকরা দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন।রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে স্বীকৃত সাংবাদিক সমাজ এই দুর্যোগ মোকাবেলায় তথ্য প্রচারের মাধ্যমে সরকারকে সহায়তা করছে। করোনার সর্বশেষ তথ্য পরিবেশন করে জনগণকেও সচেতন করছে গণমাধ্যমগুলো। পেশাগত এই দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে,সংবাদকর্মীদের।

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জাতীয় দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ইতোমধ্যেই অসংখ্য সাংবাদিক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু বরণ করেছেন বেশ কয়েকজন। সাংবাদিকতা যেমন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে, তেমনি সাংবাদিকদের বিরাট অংশও আজ চরম সংকটের মধ্যে পড়েছে।

তাই, সাংবাদিক নেতাদের প্রতি আহবান,আসুন-সাংবাদিকতার মতো একটি মর্যাদাশীল ও মহৎ পেশাকে টিকিয়ে রাখতে, জেলা-উপজেলা পর্যায়ের সৎ ও বস্তুুনিষ্ঠু সাংবাদিকতার বাহক নির্ভীক সাংবাদিদের অনুপ্রেরণা যোগাতে এই করোনাকালিন তাদের পাশে দাাঁড়াই। করোনাকালিন পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী’র আর্থিক সহায়তা উপজেলা পর্যায়ের সাংবাদিকদেরও পৌঁছে দেই।

লেখক : গণমাধ্যম কর্মী।