স্বাস্থ্য ডেস্ক : দিন দিন বেড়েই চলেছে কিডনির সমস্যা। সাধারণত কিছু অসতর্কতার জন্যই দেখা দেয় এই ধরনের সমস্যা, যা পরবর্তীতে কিডনি ড্যামেজের কারণে পরিণত হয়। তবে কিছু খাবার আছে, যা কিডনিকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে থাকে। এই খাবারগুলো নিয়মিত খেলে কিডনি রোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়। আসুন জেনে নেই সেই খাবারগুলো সম্পর্কে।

ডিমের সাদা অংশ : ডিমের সাদা অংশে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন আছে। এতে প্রচুর পরিমাণে ফসফরাস এবং অ্যামিনো এসিড আছে, যা কিডনি রোগ প্রতিরোধ করে কিডনিকে সুস্থ রাখে। ডিম সিদ্ধ করে বা অমলেট করে খেতে পারেন। তবে হ্যাঁ, ডিমের সাদা অংশ শুধু।

মাছ : ২০০৮ সালে প্রকাশিত আমেরিকান জার্নাল অফ কিডনি ডিজিসের মতে, মাছ দেহে প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করে। মাছে প্রচুর পরিমাণ ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড আছে যা ইনফ্লামেশন হ্রাস করে এবং কিডনিকে সুস্থ রাখে।

অলিভ অয়েল : অলিভ অয়েল হৃদস্বাস্থ্য সুস্থ রাখার পাশাপাশি কিডনিও ভালো রাখে। এতে প্রচুর পরিমাণ ওলিক অ্যাসিড এবং অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে যা অক্সিডেসন কমিয়ে কিডনি সুস্থ রাখে। রান্নায় বা সালাদে অলিভ অয়েল রাখার চেষ্টা করুন।

পেঁয়াজ : কিডনি সুস্থ রাখার অন্যতম উপাদান হলো পেঁয়াজ। এতে প্রচুর পরিমাণে ফ্ল্যাভোনোয়েড রয়েছে, যা রক্তের চর্বি দূর করে থাকে। এ ছাড়া এতে কুয়ারসেটিন আছে, যা হৃদরোগ প্রতিরোধ করে থাকে। পেঁয়াজে পটাশিয়াম, প্রোটিন আছে, কিডনির জন্য তা অনেক বেশি উপকারী।

রসুন : রসুন ইনফ্লেমেটরি এবং কোলেস্টেরল কমাতে অনেক বেশি কার্যকরী। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান আছে, যা দেহের প্রদাহ দূর করে থাকে। তবে রান্না করে খেলে এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায় না। ভালো হয় সকালে খালি পেটে কাঁচা রসুন খাওয়া, এটি হার্ট ভালো রাখার পাশাপাশি কিডনিকেও ভালো রাখে।

আপেল : প্রচলিত আছে ‘প্রতিদিন একটা আপেল খান আর ডাক্তারকে দূরে রাখুন’। কথাটা কিডনির ক্ষেত্রেও সত্য। আপেল উচ্চ আঁশযুক্ত খাবার, এতে অ্যান্টি-ইনফ্লামেটোরি আছে, যা বাজে কোলেস্টেরল দূর করে হৃদ রোগ প্রতিরোধ করে থাকে। এ ছাড়া এটি ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। আপেল কাঁচা বা রান্না করে অথবা প্রতিদিন এক গ্লাস আপেলের জুস খাওয়ার চেষ্টা করুন।

বাঁধাকপি : বাঁধাকপি কিডনির ফাংশন উন্নত করে থাকে। এতে রয়েছে ভিটামিন বি৬, সি, কে, ফাইবার, ফলিক অ্যাসিড। এটি শরীরের পটাসিয়ামের মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এটি সালাদ বা রান্না করে খেতে পারেন।

লাল ক্যাপসিকাম : লাল ক্যাপসিকামে কম পরিমাণে পটাশিয়াম আছে, যা কিডনি সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এতে ভিটামিন সি, এ, ভিটামিন বি সিক্স, ফলিক এসিড, ও ফাইবার রয়েছে। এছাড়া লাইকোপেন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান, যা ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে থাকে। রান্না বা সালাদ হিসেবে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় লাল ক্যাপসিকাম খেতে পারেন।

(ওএস/এসপি/আগস্ট ১০, ২০২০)