রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরার উপকুলীয় উপজেলা আশাশুনি ও শ্যামনগরের খোলপেটুয়া ও কপোতাক্ষ নদের জরাজীর্ণ বেঁড়িবাঁধ ভেঙে জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে অর্ধশতাধিক গ্রাম। ভেসে গেছে হাজার হাজার বিঘা মৎস্য ঘের ও ফসলি জমি। পানি বন্দী হয়ে পড়েছে লক্ষাধিক মানুষ। পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেঁরিবাধ রক্ষা করতে না পারায়  এ দুটি উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ পানি এখন পানিবন্দী। পানিতে ভেসে গরু, ছাগল ও  হাঁস-মুরগি। ধ্বসে পড়েছে শতাধিক কাঁচাঘরবাড়ি। আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর, শ্রীউলা ও আশাশুনি সদর এবং শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নে যাতায়াতের প্রধান সড়কের পাকা রাস্তার উপর দিয়ে প্রবল বেগে পানির স্রোত বইছে। 

দূর্গতদের দাবী, তারা ত্রান চাইনা, চাই টেকসই বেঁড়িবাধ। গত ২০ মে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতে সাতক্ষীরার উপকুলীয় উপজেলা আশাশুনি ও শ্যামনগরের বেড়িবাধ সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয় । ওই সময় বেশকিছু স্থানে রিং বাধ দিয়ে পানি প্রবাহ বন্ধ করা হলেও আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ও শ্রীউলা ইউনিয়নের বড় একটি অংশের লোকালয়ে গত তিন মাস ধরে চলে জোয়ার-ভাটা।

প্রতাপনগর ইউনিয়নের চাকলা ও কুড়িকাউনিয়া এবং শ্রীউলা ইউনয়নের হাজরাখালী পয়েন্টে বেঁড়িবাধ ভেঙে এতই গভীর হয়ে যায় যা সংস্কার করা এতদিন সম্ভব হয়নি। তার উপর বর্তমান অমাবশ্যার গোনে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩/৪ ফুট পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় গত দুই দিনের জোয়ারে যে সমস্ত এলাকায় রিংবাধ দিয়ে পানি বন্ধ করা হয়েছিল সেগুলো আবারো ছুটে যায়। এরফলে জোয়ার-ভাটা বইছে লোকালয়ে ও বাড়ির উঠানে। মানবেতর জীবন যাপন করছে মানুষ। প্রতিদিন প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। দূর্গত এলাকায় ভেঙে পড়েছে স্যানিটেশন ব্যবস্থা। এতে চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে বিশাল জনগোষ্ঠী।

দূর্গত এলঅকার মানুষের দাবী, তারা ত্রান চাইনা, চাই টেকসই বেড়িবাঁধ। এদিকে, সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল দূর্গত এলাকা পরিদর্শন করে সেখানে ৪০ মেট্রিকটন চাউল বরাদ্দ দিয়েছেন। তিনি এ সময় দ্রুতই সেখানে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান।

(আরকে/এসপি/আগস্ট ২২, ২০২০)