আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : বরিশালের আগৈলঝাড়ার সর্বত্র উন্নয়ন কাজ অব্যাহত থাকলেও উপজেলা সদর বাজারের গোডাউন রোডের গুরুত্বপূর্ন সড়কে বছরের পর বছর কাঁদা পানির বেহাল দশায় ভুগছে হাজার হাজার শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী ও সাধারণ জনগণ। অবেহেলিত এই সড়কটি যেন ‘বাতির নীচে অন্ধকার’ প্রবাদেরই চিত্র। 

উপজেলা এলজিইডি বিভাগের অবহেলার কারনে সড়কটির এমন দশা বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা ও বাজার ব্যবসায়ীরা।

তারা জানান, একটু বৃষ্টি হলেই ভাঙ্গাচোরা আর কাঁদা পানিতে ডুবে থাকার কারণে উপজেলা সদর বাজারের মধ্য দিয়ে সরকারী গোডাউন পর্যন্ত সড়কে কোন মানুষ পায়ে হেঁটেও চলাচল করতে পারছে না। যানবাহন চলাচলের তো প্রশ্নই ওঠে না। অথচ এই সড়ক দিয়ে উপজেলা সদরের দক্ষিন এলাকার সাধারণ লোকজন, দুটি স্কুল, একটি কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শত শত শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন যাতায়াত করতে হয়। পায়ে হাঁটার অনুপযোগী ওই সড়ক দিয়ে ব্যবসায়িদের মালামাল আনা নেয়ায় চরম দুর্ভোগে পরতে হচ্ছে। এই সড়কের পাশে নেই কোন ড্রেনেজ ব্যবস্থা, ফলে পানি নিস্কাশন না হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতেই সড়কে পানি জমে কাদায় একাকার হয়ে যায়। কাঁদা-পানি আর ভাঙ্গাচোরার কারণে ওই সড়কের ব্যবসায়িদের বেচা কেনায় এখন চরম দুর্দিন।

ব্যবসায়ীরা অভিযোগে বলেন, সড়কটি দিয়ে অতিরিক্ত পণ্যবাহী ট্রাকে গোডাউনের মালামাল আনা-নেওয়ার কারণেই সড়কটি বার বার বিধ্বস্ত হয়। উপজেলা সদর বাজারের সড়কটি সংস্কার বা উন্নয়ন কাজে এলজিইডির গাফিলাতিকেই দায়ি রেছেন তারা।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী রাজ কুমার গাইন সাংবাদিকদের বলেন, এই সড়কটির ব্যাপারে আমাদের কোন অবহেলা নেই। এই বাজারের ওই সড়কটি নির্মাণের জন্য ৫০লাখ টাকার এস্টিমিটসহ ‘বাজার উন্নয়ন প্রকল্পে’ দেয়া হয়েছে। ওই প্রকল্প মন্ত্রনালয় অনুমোদন করেছেন। করোনা ভাইরাসের কারনে সারা দেশে মতো আগৈলঝাড়ায়ও কোন উন্নয়ন কাজ এখন হচ্ছে না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই উন্নয়ন কাজ শুরু করা হবে।

(টিবি/এসপি/আগস্ট ২৫, ২০২০)