শ্রীমঙ্গলে পদ্মফুলের ঝিলের পাশে মিললো নিখোঁজ কলেজ শিক্ষার্থী স্বাক্ষরের মৃতদেহ!
মো. আব্দুল কাইয়ুম, মৌলভীবাজার : শ্রীমঙ্গলে নিখোঁজের একদিন পর শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী স্বাক্ষরের নিথর মৃতদেহ পাওয়া গেলো শ্রীমঙ্গলের লাখাইছড়া চা বাগানের পদ্মফুলের ঝিলের পাশে।
অনেক খোঁজাখোঁজির পর রবিবার (৩০ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ স্বাক্ষরের মৃতদেহ উদ্ধার করে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভাড়াউড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কল্যান দেব এর ছেলে স্বাক্ষর দেব শনিবার ২৯ আগস্ট বিকেল থেকে নিখোঁজ ছিল। শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজের এইচএসসি’র ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিল স্বাক্ষর। পরে থানায় অভিযোগ করা হলে মোবাইল ট্রেকিং করে দুইবার তার অবস্থানের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস ছালেক দুলাল জানান, নিখোঁজ শিক্ষার্থী স্বাক্ষরের পরিবার শনিবার রাতে থানায় অভিযোগের পরপরই পুলিশ দ্রততার সাথে অভিযানে নামে। এর পর শ্রীমঙ্গলের লাখাইছড়া চা বাগানের পদ্মফুলের ঝিলের পাশে পাওয়া যায় ওই শিক্ষার্থীর মৃতদেহ।
তিনি জানান, বর্তমানে স্বাক্ষরের মৃতদেহ ফিনলে চাবাগানের ১নং সেকশেনে রাখা আছে। সিলেট থেকে ক্রাইমসিন ইউনিটের সদস্যরা আশার পর ময়না তদন্তের জন্য মৃতদেহ পাঠানো হবে, তবে এঘটনায় এখনো কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি বলে জানান ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশের এই কর্মকর্তা।
শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার্স ইনচার্জ (তদন্ত) সোহেল রানা বলেন, গতকাল বিকেল থেকে স্বাক্ষর মিসিং। আমাদের কাছে রাত সাড়ে আটটায় এসে জানানো হলে আমরা সাথে সাথে মোবাইল ট্রেক করলাম। ফোন বন্ধ ছিল। সন্ধ্যা ৭টা ১২ মিনিটের দিকে তার লোকেশন ছিল গ্র্যান্ড সুলতানের আশেপাশে। পরে বারবারই ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। চতুর্দিকে তার আত্মীয়স্বজনসহ আমরাও খুঁজতেছি কিন্তু পাওয়া যায় না।
তিনি আরো বলেন, ‘হঠাৎ করে রাত সোয়া ১১টার দিকে একটা লোকেশন পেলাম সিন্দুরখান রোডে শিববাড়ির সংলগ্ন কুমিল্লা পাড়ার দিকে। সাথে সাথে তার আত্মীয়স্বজনসহ আমরা মুভ করলাম। এখানেও গিয়েও কিছু পেলাম না। ফোন বন্ধ। রাত সাড়ে ৩টা পর্যন্ত আমরা খুজাখুজি করেছি। পর তো সকাল সাড়ে ৬টায় খবর পেলাম যে লাখাইছড়া চা বাগানের পদ্মফুলের ঝিলের পাশে তার মৃতদেহ।’
‘ডেডবডির সাথে এখানে তার ব্যবহৃত মটরসাইকেলটা পড়ে আছে। এখানে ঘুমের ঔষধ সেডিলসহ কোকাকোলার ক্যান এবং আরো জিনিস পড়ে আছে। উপর থেকে আপাতত কোনো আঘাতের চিহ্ন দেখা যাচ্ছে না।’
চা বাগান কর্তৃপক্ষ আমাকে যেটা বলেছে গভীর রাতে তাদের লাখাইছড়া চা বাগানে ৪টা মোটরবাইক ঢুকেছিল এবং ভোর ৪টার দিকে ৩টা মোটরবাইক আবার বের হয়ে গেছে বলে জানান শ্রীমঙ্গল থানার ওসি (তদন্ত) সোহেল রানা।
(একে/এসপি/আগস্ট ৩০, ২০২০)