সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি : ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার রুপপাত গ্রামে বাকিয়ার শেখ হত্যা মামলায় নির্দোষ দাবী করেছেন সালথা উপজেলার যদুনন্দী গ্রামে অবস্থিত নবকাম পল্লী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ৩ শিক্ষক। হত্যাকান্ডের সময় তারা এলাকায় ছিলেন না বলে সাংবাদিকদের কাছে দাবী করেন ওই তিন শিক্ষক। বর্তমানে তারা আদালতে দেওয়া জামিনে আছেন।

নবকাম পল্লী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের প্রদর্শক ও ওই গ্রামের বাসিন্দা নাসির উদ্দি শেখ নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, ষড়যন্ত্রভাবে বাকিয়ার হত্যা মামলায় আমাকে ৬নং আসামী করা হয়েছে। ঘটনায় দিন ও সময়ে আমি কলেজের উপবৃত্তি সক্রান্ত কাজে কলেজে উপস্থিত ছিলাম। সকল প্রমাণ কাগজপত্র আদালতে জমা দেওয়া আছে।

নবকাম পল্লী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের প্রদর্শক ও ওই গ্রামের বাসিন্দা আইয়ুব আলী খান বলেন, ষড়যন্ত্রভাবে বাকিয়ার হত্যা মামলায় আমাকে ৪নং আসামী করা হয়েছে। ঘটনার সময় আমার ছেলেকে জামিন দেওয়ার জন্য আমি ফরিদপুর কোর্টে উপস্থিত ছিলাম। যার প্রমাণ রয়েছে।

নবকাম পল্লী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের রাষ্ট্রজ্ঞিান বিভাগের অধ্যাপক মিজানুর রহমান মোল্যা সাংবাদিকদের বলেন, আমি নবকাম পল্লী ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক ও রুপপাত গ্রামের বাসিন্দা। আমাকে হয়রানী, অর্থনৈতিক ও মানসিক ক্ষতিগ্রস্থ করার জন্য অন্যায় ও ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে রুপপাত গ্রামের বাকিয়ার হত্যা মামলায় ১নং আসামী করা হয়।১৯/০৫/২০২০ ইং তারিখ হত্যাকান্ডের ঘটনার সময় বেতনের টাকা উত্তোলন করার জন্য বোয়ালমারী অগ্রনী ব্যাংক ও ডিপিএস এর টাকা জমা দেওয়ার জন্য ন্যাশনাল ব্যাংকে উপস্থিত ছিলাম। সকল প্রমাণাদি ফরিদপুর বিজ্ঞ
আদলাতে জমা দেওয়া আছে। বর্তমানে আমরা তিন জনই জামিনে আছি। আমাদেরকে মামলা ছাড়াও বিভিন্ন হয়রানী করার জন্য মামলার বাদীনি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা সকল ষড়যন্ত্র থেকে মুক্তি চাই।

নবকাম পল্লী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ ওবায়দুর রহমান বলেন, ঘটনার সময় ল্যাব সহকারী নাসির উদ্দিন শেখ উপবৃত্তির কাজে কলেজেই ছিলেন। ঘটনার দিন ও সময় আইয়ুব আলী তার ছেলেকে জামিন করার জন্য
ফরিদপুর আদালতে ও মিজানুর রহমান বেতনভাতা উত্তোলনের জন্য ব্যাংকে ছিলেন। এমন প্রমাণ আমাদের কাছে দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে কলেজ গর্ভনিংবডি আলোচনা করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালকে জানানো হয়েছে।

(ওএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ০১, ২০২০)