রাণীশংকৈল প্রতিনিধি : আসামি প্রকাশ্যে হাটে বাজারে হার-হামেশায় ঘুরাফেরা করছে, তবুও ধরছে না পুলিশ, অভিযোগ বাদীর। এমন অভিযোগ উঠেছে ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈল থানা পুলিশের আব্দুল মালেক নামে এক উপ-পরিদর্শকের (এস আই) বিরুদ্ধে। 

উপজেলার ডায়বেটিস মোড় বাজার এলাকায় প্রকাশ্যে নিজ দুই পুত্র ও পুত্রবধুূর মারপিটের শিকার মা’য়ের গত ২৯ আগষ্ট থানায় দায়ের করা। মামলার মোট তিন আসামীর মধ্যে একজনকে ধরলেও বাকী দুই আসামীকে অজ্ঞাত কারণে পুলিশ ধরছে না বলে অভিযোগ নির্যাতিত মা মাজেদা বেগমের ।

স্থানীয়রদের সুত্রে জানা যায়, ছোট বেলায় সন্তানদ্বয়ের পিতা মাজেদা বেগমকে ছেড়ে অন্যত্রে সংসার গড়লে উপজেলার বাণিয়াদিঘী নামক গ্রামে বাবার বাড়ীতে সন্তানদের নিয়ে বসবাস করে আসছেন মাজেদা বেগম।

গত ২৮ আগষ্ট নানার জন্য সু-স্বাদু খাবার বাজার থেকে আনাকে কেন্দ্র করে। বড় ছেলে মাজেদুল ছোট ছেলে রশিদুল ও ছোট ছেলের স্ত্রী আদুরী বেগমের সাথে কথাকাটি হয় মাজেদা বেগমের। এতে মা মাজেদার সামনেই ছেলেরা তার বয়স্ক নানাকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত ও তার শয়ন ঘর ভেঙ্গে দেয়। প্রতিবাদে মা মাজেদা বেগম স্থানীয় থানায় ও জনপ্রতিনিধির কাছে বিচার দিতে। যাওয়ার পথে ডায়বেটিস মোড় বাজারে মা মাজেদার পথরোধ করে। দুই পুত্র ও পুত্রবধু মিলে লোহার রড দিয়ে বেদড়ক মারপিট করে । সে পথ দিয়েই বন্দর বাজারে যাচ্ছিল মামা মমিরুল ইসলাম। সেই সময় তারা কেন তার মা’কে এভাবে মারধর করলো জানতে চাইলে তাকেও বেদড়ক পিটিয়ে সাথে টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয় ভাগিনারা। পরে মামা ও মা’কে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে স্থানীয়রা।

এ ঘটনায় মা মাজেদা বেগম বাদী হয়ে মাজেদুল ইসলাম (৩৫) রশিদুল ইসলাম(৩২) ও ছেলের বউ আদুরী বেগমকে বিবাদী করে থানায় মামলা দায়ের করে। এ মামলায় বড় ছেলে মাজেদুলকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও ছোট ছেলে ও তার স্ত্রীকে অজ্ঞাত কারণে গ্রেফতার করছে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

আসামি না ধরা প্রসঙ্গে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আব্দুল মালেক গত বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) জানিয়েছেন, মামলাটি হওয়ার পর তদন্তে গেলে,মামলার বাদী ও স্বাক্ষীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, শুধু এক নম্বর আসামী অথ্যাৎ বাদীনির বড় ছেলেই মারপিট করেছে। অন্যরা নির্দোষ তাই গ্রেফতার করা হচ্ছে না।

অপরদিকে মামলার বাদীনি নির্যাতিত মা মাজেদা বেগম বলেন, যারা আমাকে দলবেঁধে প্রকাশ্যে মারপিট করেছে। যাদের মারপিটে গুরুতর আহত হয়ে আমি হাসপাতালে ব্যাথায় কাতরিয়েছি। বিচারের জন্য তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছি। সেই তাদের আমি কখন নির্দোষ বলেছি? পুলিশ ইচ্ছে করেই আসামী না ধরে আমার উপর এই মিথ্যা দোষ দিচ্ছে।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম জাহিদ ইকবাল শুক্রবার বিকেলে মুঠোফোনে বলেন, মামলার আইয়ু’কে বলেছি, আসামী ধরতে,আসামী কেন ধরবো না। আসামী ডায়বেটিস বাজারে মাঝে মাঝেই ঘোরাফেরা করছে প্রশ্নে বলেন, সেদিন বলেছিলো আইয়ু’কে পাঠিয়েছিলাম কিন্তু পায় নি। এমন অনেক কথা শুনা যায়। কিন্তু পরে ,আর পাওয়া যায় না।

(কেএ/এসপি/সেপ্টেম্বর ০৪, ২০২০)